Tuesday, 29 November 2011

কোলার ই-মেল-এর ctrlC ও ctrlV


TO:
Tuesday, 29 November 2011 2:27 AM

Message Body



তাঁর সব সময়ের সঙ্গী, যেটা দিয়ে মুখ ঢেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেন, সেই সবুজ গামছটা ছিল না। মুখটা তাই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। শরীরটা মুড়ে দেওয়া হয়েছিল লাল শালুতে। অন্ধ্রপ্রদেশের করিমনগর জেলার পেড্ডাপল্লিতে, বিশাল মাঠে যে চিতা জ্বলে উঠল রবিবার বিকেলে, তাতেই ছাই হয়ে গেল লাল শালু ঢাকা শরীরটা।
শেষ হয়ে গেল মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির অধ্যায়। -Anandabajar
*********************************************************


ডান দিকের চোখের জায়গাটা খালি। নীচের চোয়ালের বেশির ভাগটাই উড়ে গিয়েছে। মাথার ডান দিকে আঘাতের চিহ্ন। শুধু সামনের দাঁতের উঁচু পাটি থেকেই চেনা যাচ্ছে। ভারভারার অভিযোগ, “গুলিতে তিনি মরেননি। বেয়নেটে খুঁচিয়ে মারা হয়েছে। ডান চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। ইলেকট্রিক হিটারের উপরে দেহ ফেলে অত্যাচার করা হয়েছে। তাই পা দু’টো কালো হয়ে গিয়েছে। বাঁ পায়ের তলার দিক কেটে বাদও দিতে হয়েছে।” -**********************************************************
পেড্ডাপল্লির বাড়িতে ভিড়ের মধ্যে এ দিনও দেখা গিয়েছে জগন্মোহন সিংহকে। কিষেণজি-র ছোটবেলার বন্ধু, অনুগামী। তেলেঙ্গানা ও মাওবাদী-আন্দোলনের সঙ্গী। সকাল থেকেই জনতাকে ফুল সরবরাহ করছিলেন। বিকেলে সেই জগনকেই দেখা গেল, একা-একা প্রিয় বন্ধুর চিতায় কেরোসিন ছিটিয়ে চলেছেন। কাছে যেতে চোখ মুছে বললেন, “জানেন, ও বলত, কমিউনিস্ট হওয়াটা বড় কথা নয়। কমিউনিস্ট জীবনচর্যাটাই বড় কথা। আর কমিউনিস্ট হিসেবে মৃত্যু আরও বড়।” গলা বুজে এল তাঁর।-Anandabajar

*************************************************************************

তিনি কিষেণজি। সাড়ে পাঁচ ফুটের সেই চেহারাটাকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যখন বুড়িশোলের জঙ্গলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলাম, প্রথমে ঠিক বিশ্বাস হয়নি। কাছ থেকে গিয়ে দেখে বুঝলাম, চোখের ভুল নয়। গুলিতে ক্ষতবিক্ষত যে লাশটা জমিতে বাঁ দিকে কাত হয়ে লুটিয়ে আছে, সেটা সিপিআই (মাওবাদী)-র তিন নম্বর ব্যক্তিটিরই। আর যাই হোক ওই হাতের পাঞ্জাটা ভুল হওয়ার নয়। সেই পাঞ্জার চাপ যে তিন তিন বার অনুভব করেছি নিজের ডান হাতে।
তিন বার একেবারে সামনে থেকে দেখেছি। প্রতিবারই পরনে এক পোশাক। কিছু স্মৃতি আজ না চাইতেও ঘুরেফিরে আসছে মাথায়। ২০০৯-এর ১৮ জুনের আগে পর্যন্ত শুধুই নাম শুনেছি। ২০০৪ সাল থেকে জঙ্গলমহলে মাওবাদী সংগঠনের ভার ছিল তাঁরই কাঁধে। ঝাড়গ্রামে থেকে কাজ করার সুবাদে কিষেণজির নাম পুলিশমহলের কাছে বারবার শুনেছি। জানতাম ভাল নাম মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও। অন্ধ্রের লোক। মাওবাদীদের পলিটব্যুরো সদস্য। ২০০৭ সাল থেকে লালগড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার পিছনে তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত বলে পুলিশের দাবি। তার পর থেকে লালগড়ে যে অবরোধ-আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার রাশ ছিল তাঁরই হাতে। তখনও পর্যন্ত কিষেণজি বলতে আমার কাছে ভাসা ভাসা, টুকরো টুকরো এই সব তথ্য। আর তাঁকে ঘিরে গড়ে ওঠা কিছু ‘মিথ’। তাঁকে নাকি চোখে দেখা যায় না! এই আছেন বেলপাহাড়ির জঙ্গলে, তো খানিক পরেই তাঁকে নাকি দেখা যায় লালগড়ের জঙ্গলঘেরা গ্রামে। দু’হাতে বন্দুক চালানোয় সমান দক্ষ। অক্লেশে হাঁটতে পারেন মাইলের পর মাইল জঙ্গল-পাহাড়ি পথ।-Anandabajar

*************************************************************************************

Vebechhilam Du fota chokher jol felbo...jol niye gelo ei lekhata;;; Kishanji-der janya o toh ank pran beghore gelo
****************************************************************************************
তাঁকে খোঁজে আহত পেঁচা। তাঁকে খোঁজে পা ভাঙা কাঠবিড়ালি। তাঁকে খোঁজে চাঁদনি রাত। তাঁকে খোঁজে থইথই জ্যোৎস্না।
ছেঁড়া নক্ষত্রেরা তাঁকে খোঁজে। খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত ভোরের ঘাসফড়িং। স্বচ্ছতোয়া এক নদীও তাঁর খোঁজে পাগলপারা। তাঁকে খুঁজছে এক আকাশ রোদ্দুর।
বাড়ির বারান্দায় এখনও দুলছে বাবুইয়ের বাসা। সঙ্গে বাঁধা একটা ভাঙা মৌচাকও। সেদিকে তাকিয়ে উন্মনা স্বচ্ছতোয়া বসু। অযোধ্যা পাহাড়ে নিহত সৌম্যজিৎ বসুর স্ত্রী। চশমাটা খুলে খালি চোখে বাবুইয়ের বাসাটা দেখছেন আর বলছেন, “কোনওদিন শুনেছেন, পাখির বাসায় কেউ জ্যোৎস্না ভরে আনে? কোনওদিন শুনেছেন, পাখির ডানা ভাঙলে কেউ কাঁদে? কোনওদিন শুনেছেন, চাঁদের সঙ্গে কেউ ফিসফিসিয়ে কথা বলে? ও বলত। পাহাড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখতে গিয়েই তো ও হারিয়ে গেল।”
স্ত্রীর নাম স্বচ্ছতোয়া। ছেলের নাম আরণ্যক ও রোদ্দুর। নদী, অরণ্য, রোদ্দুর তাই ঘরেই ছিল ভূগোলের শিক্ষক সৌম্যজিতের। বাইরে ছিল কূলপ্লাবী জ্যোৎস্না। গত বছরের লক্ষ্মীপূর্ণিমার চাঁদ তাঁকে ঠেলে দিল অন্ধকার মৃত্যুর দিকে। কয়েক মাস পরে সৌম্যজিতের দেহ যেদিন ব্যান্ডেলের বাড়িতে পৌঁছল, সেদিনও ছিল বানভাসি জ্যোৎস্না।
এতদিন আশায় ছিলেন। দুর্মর আশা। বাড়িতে ফিরবেন সৌম্যজিৎ ও পার্থ। বন্ধু পার্থ বিশ্বাসের সঙ্গে অযোধ্যা পাহাড়ে ছুটেছিলেন সৌম্যজিৎ। তার পর হঠাৎ নিখোঁজ। চারদিকে হইচই। কোথায় গেলেন? সৌম্যজিতের দাদা অভিজিৎবাবুর গলায় ক্ষোভ। বললেন, “এক নেতা বললেন, ফিরিয়ে আনবই। এক নেত্রী বললেন ভাইফোঁটা দেব। পুলিশ, আমলা সবাই আশায় রাখল। কিন্তু ভাই কি বেঁচে ফিরল! কেন আমাদের সঙ্গে এই তঞ্চকতা!”
সৌম্যজিতের ছেলেবেলা কেটেছে অসমের চা বাগানে। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। দূর পাহাড়ে রাখালের বাঁশি। প্রকৃতি মিশে গেল রক্তে। সৌম্যজিতের আর এক দাদা সুজিতবাবু বললেন, “পাহাড়ের প্রজাপতিগুলি ছিল খুব বড়। ওরা যখন গাছে বসে থাকত, একটু দূর থেকে টুপি দিয়ে হাওয়া দিতাম আমি আর ভাই। সেই হাওয়ায় টাল খেয়ে পড়ে যেত একটি-দু’টি প্রজাপতি। ভাই ওদের নিয়ে আসত বাড়িতে। একটা রঙিন বাক্স ছিল। প্রজাপতিটাকে ওখানে রেখে চারদিকে সাজিয়ে দিতাম রঙ্গন ফুল। রঙে রঙে ভাইয়ের চোখমুখ ঝিকমিক করত। কিছুক্ষণ পরে প্রজাপতিটাকে ছেড়ে দিত গাছের ডালে। আমাদের একটা পোষা হরিণও ছিল। ভাই ওর সঙ্গে খেলত। খ্যাপা ছিল খুব। না হলে কেউ কার্গিলে যায়!”
কার্গিল?
দেওয়ালে বাঁধানো একটা ছবি দেখালেন স্বচ্ছতোয়া। বালির বস্তার আড়ালে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে তাঁর খ্যাপা বর। পিছনে দাঁড়িয়ে এক সেনা।
সত্যিই যুদ্ধে গিয়েছিলেন নাকি?
অভিজিৎবাবু বললেন, “সত্যিই এটা কার্গিলের ছবি। তখন কত বয়স? কলেজে পড়ে। একদিন বলল, ‘সবাই যুদ্ধের জন্য টাকা দিচ্ছে। কিন্তু আমি যুদ্ধেই যাব।’ আমরা আটকাতে পারিনি। এক বন্ধুর সঙ্গে যুদ্ধে চলে গেল। থাকলও বহুদিন। যুদ্ধ থেকে ফিরে আবার পড়ল পাখি আর পোকামাকড় নিয়ে।”
বাবুইয়ের বাসাটা কি সৌম্যজিৎই ভেঙে এনেছিলেন?
স্বচ্ছতোয়ার মুখে ভাঙা বাসার আঁধার। খানিক নীরবতা। বললেন, “ভাঙেনি। পাখির বাসা কোনওদিন ভাঙত না। গাছের নীচে কুড়িয়ে পেয়েছিল। আমার বাড়ি তো পশু-পাখির হাসপাতাল। পা ভাঙা কাঠবিড়ালি খুঁজেপেতে নিয়ে আসত। ডানা ভাঙা পেঁচাও এনেছিল। পেঁচা খুব ভালবাসত। আর ভালবাসত চাঁদ। বিভূতিভূষণ ও জীবনানন্দ খুব প্রিয় ছিল। ডুয়ার্সের জঙ্গলে একবার হাতি তাড়া করেছিল। গাছে উঠে পড়েছিল ও। উফ, কী সাঙ্ঘাতিক!” স্বচ্ছতোয়ার চোখেমুখে রোমাঞ্চকর বিচ্ছুরণ। যেন পুজোর মণ্ডপে পাশেই বসে সৌম্যজিৎ। চাপা গর্বের সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীকে শোনাচ্ছেন খ্যাপা বরের বীরগাথা।
আপনিও যেতেন?
যেতাম। তবে পুজোয় তেমন যাওয়া হত না। পাড়াতেই মেতে থাকতাম। গত বারও অযোধ্যা পাহাড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়া হয়নি। পুজোর পরেই কাঁধে বাইনোকুলার ঝুলিয়ে চলে গেল। তখনও কি জানতাম, ও চলে যাচ্ছে চাঁদের পাশে। চাঁদই ওকে কেড়ে নিল। আমি আছি ছেলে রোদ্দুরকে নিয়ে।
সাড়ে তিন বছরের রোদ্দুরের একটা সাইকেল আছে। মৌমাছির মতো। বাবার সঙ্গে সে সাইকেল চড়ত। স্বচ্ছতোয়া বলেন, “বিশ্বকর্মার দিন ছেঁড়া নেকড়া দিয়ে সাইকেল মুছছিল। হঠাৎ বলল, মা, বাবার বাইকটাও মুছে দিই। বাবা কোথায় মা?”
বাবাকে খুব খোঁজে?
রাতে বিছানায় খোঁজে। আমাকে বলে, ‘মা, বাবার পাশবালিশটা কাউকে দেবে না। ওটা শুধু বাবার। বলো না মা, বাবা কোথায়?’ আমি বলি, যা কিছু ভাল, এই যেমন মেঘ, বৃষ্টি, গাছ, কাঠবিড়ালি, সবের মধ্যেই তোর বাবা আছে। তোর বাবা তো খুব ভাল, খুব ভাল...।
বৃষ্টি ঝরছে স্বচ্ছতোয়া নদীতে। গলার কাছে, বুকের কাছে, আটকে থাকা নুড়ি-পাথর ভেসে যাচ্ছে বৃষ্টির ধারায়। ছেঁড়া সেতারের মতো শোনাচ্ছে ওর গলা। বললেন, “পাগল ছেলের কথা শুনবেন? এই তো সেদিনের কথা। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। চারদিক ঝাপসা। দেখি, জানালার ধারে হাতটা নিয়ে একবার মুঠোটা খুলছে, একবার বন্ধ করছে। হঠাৎ আমাকে দেখে বলল, ‘মা, তুমি যে বললে বৃষ্টির মধ্যে বাবা আছে। আমি তো কত বৃষ্টি ধরলাম। কোথায় বাবা? কোথায়?”
বৃষ্টি থামছে না।

Saturday, 19 November 2011

কোলার ই-মেল থেকে তুলে আনা (১৯শে নভেম্বর, ২০১১)

ভুতের কবিতার খাতায় লেখা ছিল ...


আজও ভর দুপুরে আমি জংগলে যাই, নদীর ধারে শুয়ে
হাল্কা ডানায় ভেসে যাওয়া মেঘকে উদাস চোখে দেখি,
এরা কেউ নয়;
তোমার শরীরে শ্রাবণের প্লাবন আনত যে মেঘ,
তাকে আমি আমার সাদা চুলের আকাশে বন্দী করে রেখেছি।
কথা ছিল তুমি এলে অভ্রকুচির মালা গেঁথে
তোমার গলায় পরিয়ে দেব।
জলভরা মেঘ আজও নিশ্চিন্তে ঘুমায় --
তুমি কখনও আসবে না সে জানে।
তুমি লুট হয়ে গেছ আজ পঁচিশ বছর!
হঠাত্ কালবৈশাখীর ঝড়ে
এক ফোঁটা বৃষ্টি তবু কি অসীম বাসনায় বাতাসে ভাসে
অতল সাগরে এক ঝিনুকের উন্মুক্ত গহ্বরে ঝরে প'ড়ে মুক্তো হবে ব'লে।

আজও শরতের শিশির ঝরে শিউলির ওপর,
পদ্মপাতা থেকে ধানের শিষ, ভোরের আলোয় সব ভিজে লাগে,
সেই শেষ শিশিরে অগুন লেগেছিল যখন--
আমার সামনে নগ্ন পায়ে তুমি ঘাসের ওপর চকিতে চলেছিলে,
খসে যাওয়া শাড়ীর আঁচলখানি তুলে,
আজ রূপালী রোদের তেজ-ও শিশিরের বুকে ম্রিয়মান,
কেবল চরাচর জুড়ে লক্ষ কাঁচের ভাংগা টুকরো,
আমার পঁচিশ বছর আগের ভাংগা মনের গুঁড়ো আয়না,
প্রতি শরতের শিশির হয়ে ঝরে কেন, কে জানে?

স্বপ্ন ছিল --- তোমার চোখের তারায় আলো হয়ে জ্বলব,
তোমার মনের আকাশে নগ্ন বিহংগের নির্লাজ ডানা মেলে,
তোমার নির্দাগ সিঁথির নিষ্কলংক চাঁদ কেবল আমি-ই শুধু ছোঁব,
ষড়রিপুর এস্রাজে রাগ ছিল শুধু তুমি,
রিপুতে রিপুতে যৌবনগীতের সুরসংগীত তুমি,
নীলনির্জনে নিবিড় আলিংগনে তোমায় চুরমার করে দেওয়ার দুরভিসন্ধি ।

প্রতি মুহূর্তে হেরে গেছে তোমার মায়াবী চোখের এক পলকের চাহনিতে,
নির্বাক মুখে তোমার শান্ত দৃষ্টির কষাঘাত ... ওটাই সান্তনা,

বাকী ভালবাসার ইতিহাস ... আজ শুধুই যন্ত্রণা।

Sunday, 13 November 2011

কোলার ই-মেল থেকে তুলে আনা (১২ই নভেম্বর, ২০১১)

বন্ধু, পশ্চিমি দুনিয়া-গোভাগাড়ের হাল। শ্মশানের রাজা হয়ে আর কি হবে? আমার ড্যানিশ কোম্পানী ৪০ জনকে কাজ থেকে বসিয়ে দিল।

কিছুদিন বাদে দেখবে, 'কাজের লোক চাই গো-ও-ও-ও?' ব'লে ইটালিয়ান আর গ্রীকো কাজের মাসীরা ঘুরছে আর হাঁক পাড়ছে। ও দেশের ছেলেমেয়েরা স্বপ্ন দেখবে ব'ড় হয়ে ইন্ডিয়া যাবে ব'লে - ইন্ডিয়াতে না কি কত ব'ড় ব'ড় চাকরী পাওয়া যায়! আবার কেউ কেউ, যারা কাজ করে নি সারা জীবন, তারা তো ইন্ডিয়া আসতে চাইবেই! কারণ এখানে আদিবাসী গ্রামে ৪০ ইউরোতেই না কি মাসের গুজারা হয়ে যায়।এতদিন এই পয়সাটা ওরা মদের বোতলের পেছনে ঢালত।

আমরা ভিসা দেব না; যথেষ্ট ব্যাংক বালান্স আছে কি না জিগ্গেস করব; এখানে সেটল হওযা চলবে না; আমাদের মেযেরা যদি বিয়ে করে তবেই ভোটার কার্ড পাবে; আমাদের দুধওয়ালা, কাগজওয়ালা, মাছের বটিওযালা, মযলাওযালা। সব আমেরিকান কালো বা সাদা বা ইুরোপীয়ান হবে।গাড়ী ধোবে জনি, বাসন মাজবে লেনী, রিস্কা টানবে alphabetasinecos (এটা গ্রীকো নাম), ট্যাকসি চালাবে হ্যারী; পাকিস্তান আর আমাদের currency common Visa হবে; তিব্বতে হবে ফ্রী ইকনমিক জোন; আন্দামানে খোলা হবে বড় আযুর্বেদিক চিকিতসালয; আকুপাংচার আর আযুর্বদ হবে দুনিযার সেরা চিকিত্সাপদ্ধতি; জারোযারা গাছের শিকড়বাকড় চেনাবে বিদেশী ছাত্রদের।

সুইস ব্যাংকের কালাধন দেশে ফিরে আসবে; সারাজীবন ওদের দেশে ব্যাংক হলিডে হয়ে যাবে; আমাদের ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানীগুলি একেকটা পাহাড় কিনে ফেলবে শুধু শুটিং করার জন্য; হলিউড আর বলিউড মিলেমিশে যাবে; ওদেশের এক্সট্রারা আঁটোসাঁটো পোশাক পরে এদেশের IPL অথবা formula one-র পতাকা ওড়াবে আর নাচগান করবে।

মেসি খেলবেন মোহনবাগানে বা ইষ্টবেংগলে, ব্যারেটো খেলবেন ইংলিশ প্রিমিযার লিগে; ওদেশের লিগ আর কেউ দেখবে না; Ambassador দুনিয়ার সবচেয়ে বিলাসবহুল গাড়ী হবে; আমাদের ফুচকাওযালার পলিথিনের গ্লভস পরে ছোট রেফ্রিজারেটর নিয়ে ঠেলা লাগাবে আর বাদাম বা ভেলপুরীওয়ালারা সাথে মাইক্রোওভেন নিয়ে ফেরী করবে; লোকাল FM-এ ফেরীওশালাদের নাম রেজিষ্টারড থাকবে; আমরাই প্থম ডাযমন্ড হারবার রোডের নীচে সুড়ংগ কেটে গংগার জল ঢুকিয়ে জাহাজ চালাব মনুমেন্টের নীচে অবধি; জাহাজীরা সুড়ংগ থেকে উঠেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অথবা পার্ক স্ট্রীট দেখবে; এখানেই থেকে যাবার বাসনা প্রকাশ করবে;

রাজা হও বন্ধু, আরও কত কি হয়ে যাবে!

Monday, 31 October 2011

এক গুজরাঠী ভদ্রলোকের কলমে...ভবিষ্যত্ কলকাতা



Which Indian city has the best infrastructure, the most attractive culture? In a nation where Nasscom says 90% of all graduates are unemployable, which city produces many times more competent people than it can hire? Which city is our greatest net exporter of talent? Which city will win in 20 years?

Kolkata.

This is ridiculous, because Kolkata lags Delhi, Mumbai and Chennai and even Bangalore, Hyderabad and Pune in attracting investment. It has no software economy and no financial sector. What industry they inherited, Bengalis have packed off efficiently.

Relic: Kolkata still has hand-pulled rickshaws not found anywhere in the world. Photo by Indranil Bhoumik/Mint.

Relic: Kolkata still has hand-pulled rickshaws not found anywhere in the world. Photo by Indranil Bhoumik/Mint.

It is ridiculous because Bengalis don’t even have a proper trading class, and use the word “bene” (baniya) with contempt. How is such a place fertile for capital?

Then there is the matter of the anarchy. Even by India’s low standard, Kolkata is a monumental mess. Little governance is visible on its roads, which the state has surrendered to the population and shows no desire of retaking.

But Kolkata has assets, chief among them its people. In a world where cultures must integrate, Bengalis have built one of our most attractive and open cultures. More about this later.

If you were to close your eyes and imagine the city without its grubby occupants, Kolkata actually has the finest infrastructure of any Indian city. Options for getting around the city include a Metro (not found in Mumbai), local trains (not found in Delhi), taxis (not found in Bangalore), trams (not found anywhere in India) and hand-pulled rickshaws (not found anywhere in the world).

It is even possible, though it isn’t advisable, to walk one’s way around the city because it has footpaths, something supposedly urban centres like Gurgaon and Bangalore don’t have.

The problem is only that all this great infrastructure is poorly managed. And actually it is very easily remedied. New tram cars running on these same tracks can transform inner city commuting. It is the middle class (not the poor) that uses the rickshaw in the old city lanes of north Kolkata. A boost in their incomes will mean bigger fares for the destitute Biharis who pull them around.

Also Read | Aakar Patel’s previous Lounge columns

Kolkata’s taxis run on metered fare, unlike in most of India, and need only to be more modern.

The systems are in place. A little governance is required to get the economy moving. A man or small group of people charged with making the city attractive for investment can transform Kolkata in five years. I’m tempted to say it should be one of the Bengali-speaking Gujaratis or Marwaris who support Trinamool. They will know what to do and instinctively connect with those who have capital. Labour unions are not relevant in the IT industry where retaining trained talent is the problem and not job security. A little assurance from Kolkata that it will not be aggressive on such issues for white collar workers will get businessmen excited.

Let us turn to culture, Bengal’s priceless asset.

He is useless at managing his own economy, true, but the Bengali represents the moral end of our politics.

The Communists and Mamata Banerjee can be accused of many things. Being corrupt and being communal are not among them. Perhaps they don’t really know how to make money in office, but their open-mindedness is deliberate and comes from within. The city of Kolkata is Britain’s gift to Bengal, a one-city state. Bengalis have responded by producing an urban culture that is sophisticated and modern.

This gives them an attractive duality. Middle-class Bengalis are comfortable and, importantly, urbane in both English and Bengali. They can express modern ideas in their language, which is supple and can accommodate words from other languages easily (“bourgeois”). This separates them from much of India.

High culture comes from Kolkata’s bhadra, who is Kayastha/Brahmin/ Baidyi (Vaidya). Along with southern Maharashtra and northern Karnataka, Kolkata is the place that produces classical musicians at will.

Despite having a majority Muslim population, Bengal’s nationalism has coalesced around Bengali language, not religion.

One reason Bangladesh isn’t Pakistan is that it is insufficiently Islamized. But why? Because the gentle leavening of Rabindric culture has resisted the harsh call of an Arab social order.

Bengal is animist, and its riverine geography has retained the river-based culture of our ancients. This culture the Bong carries with him where he goes. Bengalis are among our most ubiquitous professionals. They dominate the media and are represented heavily in services and academia, and in higher management. They are all-rounders. They bring a sense of quality and aesthetic that is uncommon.

Let one example suffice. The best designed newspaper in India isAnandabazar Patrika. Its puja-special magazine is a thing of beauty and not to be compared with what other Indian newspapers produce.

The outsider who can look past the grime and the soot will find much that is rewarding in Kolkata.

It is our only city to have a Chinatown. It is our football capital, with a proper and passionate football following. This integrates it with Europe and in time, when there is money in Bengali sport, this will be one of the city’s big assets.

There is history on Kolkata’s roads, and many people will come to see it if they are shown it—the homes of Tagore and Vivekananda, Victoria Memorial and the lovely British-built areas around Park Street. Also the great spiritual centres that were founded around the city and radiated their message of soft Hinduism across India.

Kolkata is altogether more relaxed in the mingling of the sexes. This is something I’ve noticed in all cultures where honour isn’t at a premium, and it is the same in Gujarat. Single women are comfortable in the company of men.

Kolkata has excellent places to eat and drink. Meat is served, and alcohol is freely available. Bengalis don’t have the fake morality of some of our other cultures.

Gujarat covers itself with hypocrisy. An Ahmedabad daily I worked at reported a few years ago that the majority of licensed drinkers in the city also insisted on prohibition. Why? “That’s our culture,” they said.

On leaving the Prime Minister’s Office (PMO) and becoming the chief minister of Maharashtra, Prithviraj Chavan’s big initiative has been to raise the drinking age in Mumbai to 25. He spent years learning at Manmohan Singh’s knee, but the peasant’s instinct isn’t easily exorcised. Another Maratha, R.R. Patil, abolished the city’s beautiful dance bars. Between them, the pious Marathas have done satyanash of that city. Piety is a personal value and not to be inflicted on another, but this is difficult for some cultures to internalize.

It isn’t that Kolkata isn’t devout, and there is no celebration like Durga Puja anywhere in the world. This much religious fervour would otherwise always inject a harder edge into the air. Like it does during Ahmedabad’s annualrath yatra, whose organizers insist that its floats parade through the Muslim ghettos of Shahpur, Kalupur and Dariyapur. Floats on which akhara braves, bare-chested, display their valour. What does Sri Vishnu have to do with bodybuilding?

Kolkata’s puja is festive, and inclusive. Not threatening, not menacing.

From either end of the subcontinent, two disparate states observe India pass them by. Gujarat and Poschim Bongo (should we now call them Bongolis?) are two states that don’t fall neatly into our north-south division.

Both states have missed making money in the new economy.

Gujarat has missed out despite having outstanding infrastructure— power, roads—and access to capital. All that fledgling information technology firms need. It has governance but does not have the fundamental ingredient: human capital. Oriented towards trade, its urban class is uninterested in, for the most part contemptuous about, employment. English isn’t spoken in Gujarat, even by the elite, for Gujarati delivers the most important function of modern language—communicating complex economic thought.

This will not change for a very long time. Kolkata has a different problem: It lacks governance. But by way of human capital it is India’s wealthiest city. Twenty years ago, this meant little and Kolkata’s brightest minds left the city. Today it is gold.

I always enjoy visiting Kolkata, even if by the third day of looking at the happy poverty and the chaos the mind turns to thoughts of escape.

All Indian cities have problems. Few also contain solutions. It is entirely possible, and I think most likely, that Bengalis will be able to sort out theirs, which are quite minor. Kolkata will then be one of the world’s great cities again.

Such a beautiful and cultured people deserve it.


Monday, 24 October 2011

এক গুজরাতী ভদ্রলোকের চোখে কলকাতার ভবিষ্যত্

প'ড়ে কি মনে হল, লিখিস্।

http://www.livemint.com/2011/10/13210324/Why-Kolkata-will-win-in-20-yea.html

Saturday, 17 September 2011

বিশ্বকর্মাপূজা ২০১১


আজ তোরা নিশ্চয়ই সব একসাথে বসবি।কোথায় বসা হচ্ছে। নির্মাল্য;সুজয়;শান্তনু;মানস সবাই আসবি'ত।
সঞ্জীব আসবে তো?
ঘুড়ি ওড়ানো নেই।সূতোয় জল ন্যাকড়া মারা নেই,মাঞ্জা দেয়া নেই। কাঁচ গুঁড়ো করা নেই। হীরাকস;টৌরিফল ছাঁকা নেই।সাবু ফোটানো নেই।ঘুড়ি লোঠা নেই।ভাতদিয়ে ঘুড়ি জোড়া।লগি,ব্যাখারি নেই।হপ্তামারা নেই।ঝগড়া নেই।মাথা,ফাটা হাত ভেঙে যাওয়া নেই।
বন্ধুবৃন্দ তোরা সব ভালকরে,চুটিয়ে মস্তি কর।

পুনশ্চঃ ---গৃহে পত্নি প্রায় যুবা সন্তান থাকা সত্ত্বেও ,এবার যেন পরকীয়া বন্ধ করে।

Wednesday, 14 September 2011

Pardon for English

If I ever produce a serial One thing I am sure about that my first shots will be in France. Donges look lovely now. Long empty boulevards by serene sea beaches and blue sky make this place pictursque. I realize France is not about Eiffel tower it is bowing down to pat one playful dog by these beaches and get up to see the lady of the dog smile like champagne. One gets wet before she retrieves it with great care.
Only in France I will bow down to pat dogs anywhere else in the world I will do that only if diamonds were lying in the streets; Sometime one rose can make your garden only in France one smile can make your world.
All U Ajanta thek Paran Bandhus please enjoy this get togrether

Wednesday, 31 August 2011

পাগলের প্রলাপ

আবার দেখা পাগলটার সাথে। বদলায়নি মোটে । হাত চিৎ করেই আছে । খাওয়া জোটেনা যে। আমায় একবার বলেছিল university degree টা ব্ল্যক মার্কেটে বেচা যায় কিনা। মাঝে মাঝে দু চার পয়সা দিই। তাতে কি আর অভাব ঘোচে তার। আজকাল সে ও কবিতা লেখে
দেখলাম এইটে লিখেছে
চেহারা
তোমরা ফেলে দাও যে কপির ডাটা
তা দিয়ে চমৎকার তরকারি করে মা টা -

ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে।

বাবাকে দাওয়া তোমাদের যৎসামান্য বকশিস
তাতেই একটুখানি চোলাইয়ের বিষ
আমি রাতে শুনি বাবার প্রিয় শিষ -

ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে

যে শাড়ি দিয়ে তোমরা রাখ বাসন
সে শাড়ি আমার বোনের অঙ্গে ভীষণ শোভন -

ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে

তোমার ছেলের ফাটা ফুটবলে
আমার ভাই স্বপ্ন দেখে
হবে সে এঁদো গলির পেলে -

ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
আমাদের ভীষণ দরকার প্রতি মিনিট
অনেকটা্ তোমাদের শেষ, আমাদের শুরু
এই তো জীবন গুরু।


Thursday, 25 August 2011

আমার ঘরের দেয়াল

বাড়ী নারীর চেয়ে দুর্জ্ঞেয়। আমার এক বন্ধূ "হিজিবিজির" সুতোয় এমনি এক নকশা এঁকে গেছে এই blog-এ। নারী মন কোথায় পড়ে ধরা দেবতা ও জানেন না, আর বাড়ী কখন কোথায় কাকে ধরা দেয়, অথবা কেনই বা দেয়না, এই সভ্যতা তাই জানেনা।
রমাপদ চৌধুরী লিখেছিলেন "বাড়ি বদলে যায়"। তখন উনিও জানতেন না কি ভীষণ ভাবে বদলে যায়।
বাড়ি~ স্বপ্নপুরণের এক অপ্রতিম কাহীনির নাম, কখনও বা আশার আকাশে ভাসা চিলের ডানার মত অধরা স্বপ্নের নাম। বাড়ি থেকে বাসা, বাসা থেকে ভালবাসা থেকে কুটুম্বিতা। খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার ~ হৃদয়ের আকীর্ণ প্রসার। নিজের হোক অথবা ভাড়ার, বাড়িওয়ালার বাড়ি -ও কেন যে স্থান পায় অন্তরের অলিন্দ্যে~ আমরা কেউ জানিনা।

এখন বাড়ির নাম ফ্ল্যট। কোথাও সুপরিসর লিভিং রুম, প্রশস্ত হল নরম সোফাসেট, টার্কিশ কার্পেট ,মেঝেয় ফ্লোরবোর্ড, ডিম্বাকৃতি সেন্টার টেবিল, আধুনিক পেইন্টিং অরফিইয়াস কিংবা ইউরিদিয়াসের মুখ থেকে অবিরাম ঝরে পড়া ফোয়ারা, সাঁতার কাটা প্রজাপতি মাছ, concept ফার্নিচার, বাহারী ল্যম্প-শেড, পিকচার ল্যম্পের নীচে পরিতোষ সেন অথবা রামকিংকর বেইজ ~আজকাল মমতা ব্যনার্জী কিংবা শুভাপ্রসন্ন ও হেভি চলছে। অবশ্য CM মমতার limited Edition পাওয়ার চেয়ে গণেশ পাইন পাওয়া অনেক সহজওভেন ডিশ ওয়াসার এল ই ডি টিভি এ তবে সহজলভ্য এবং অনেকের-ই আছে।


আরেক টা বাড়ি আগে হত। সেটা কারও কৃষ্ণনগর কারও মালদা কারও ঘোলসাপুর হতে পারে অথবা বকুলতলা, সবেদা বাগান, শীলপারা। সে বাড়িগুলোর furniture এ কোন আঁতেল কনসেপ্ট থাকতোনা
~ বাবারা চাকরীতে যেতেন, জ্যঠা কাকারা ও যেতেন , কারও মাও যেত। ফাস্ট স্লো সব খাবার মা ঠাকুমারা-ই বানাতেন। বাড়িতে মাংস আসার দিনক্ষণ দেখে খোলা হাওয়ার সাথে খুশি আসতো। নোট বুকের size-এর আয়নায় বড়দা অথবা ছোটকাকু গোঁফে শান দিত। দিদি পিসিরা খেলার ছলে চুল টেনে কান মুলে অতিষ্ঠ করে দিত~ আবার ওরাই না চাইতেই খোপ কাটা আচার লজেন্স মুখে জোর করে পুরে দিয়ে যেত। জীবন টা কেমন টক ঝাল মিষ্টি মিষ্টি ছিল। নগেন দাসের কারখানায় ন টার ভোঁ, বাবা যাবেন নাকে মুখে গুজে ১২ডি ধরতে। বাড়ি মোটেই ছিমছাম থাকত না। থেকে থেকে তাক অগোছালো হয়ে যেত।
ভদা ভদা কাঁসার বাসন, পিড়ি পেতে খাওয়া, শকরিকাটা বাসন তুলে রাখ পাকের ঘরে, মঙ্গলা দি এসে মাজবে
আজ জীবন অনেক ম্যনেজেবেল। মশা আরশুলা তখন ও ছিল এখন ও আছে । কিন্তু তখন ছিল শুধু ফ্লিট এখন hit থেকে শুরু করে টোট্যাল কিলিং রেঞ্জ। আমাদের এত কার্ড যে তাদের আদি ভৃগু ration Card লজ্জায় সামনে আসেনা। কোকিল ডাকতো, চড়াই আসতো, আবার জলঢোরা ভাম অথবা ফড়িং ও উড়ত। আজ তারা অনেকেই আসেনা। আগে স্রেফ চুনকাম হত দেয়ালে, দাগ পড়তো ফাটল ও ধরত। আজকাল দারুন hifi paint, দেয়াল থাকে ক্যনভাসের মত নিটোল। আজকের পেইন্ট না ফাটিয়ে তবুও ঘরে একটা জিনিস বড্ড বারবার ঢুকে পড়ে। ঘরের আনাচে কানাচে তার উপদ্রব নজরে পড়ে চোখ নয় মন খচখচ করে। এর নাম হল লোভ। পরাণরে শুধু পাওয়ার আকাঙ্খায় জীবন গেল জীবন ছুঁলাম কই?
~এই সপ্তাহে চলে যাব।










Monday, 15 August 2011

মা রঞ্জনা আর স্বাধীনতা

লিখিনা কিন্তু পড়ি। অনেক সময়ে এই রোল টা ই ভাল লাগে। কলকাতায় আজকাল কাজের পাহাড় ~ কাজ ডিঙোতেই সময় ফুরিয়ে যায়। কাজের বোঝা আগেও ছিলনা তা নয় কিন্তু তখন ছিল ইটের পাঁজা। এখন পাহাড়। হাড়ে জোর কমেছে তাই গতি স্লথ। মনের আয়নায় এখনও কত রঙের ছোঁয়া লাগে তবু ছবি আঁকা হয়না। ক্যানভাস আছে, কল্পনা আছে ...কিন্ত অন্তরে আলো যেন নিষ্প্রভ।


কাল ১৫-ই অগসট গেল। সামগ্রীক ভাবে জাতির ইতিহাসে স্বনর্ময় দিন। তবে আমার কাছে বড় স্মৃতি-মেদুর। টুকরো স্মৃতির খণ্ড-হার। তবে স্মৃতির কড়িকাঠ আল্গা হয়ে আসছে। অনেক কথার পলেস্তরা খসে পড়ে গুড়ো গুড়ো হয়ে হারিয়ে গেছে


আমার মায়ের স্মৃতির কড়িকাঠে ঘুণ ধরেছিল। বিস্মৃতির হাওয়ায় ভাসতো অনেক স্মৃতির কণা, মা ছুঁতে পারতেন না। ফ্যল'ফ্যল করে চেয়ে রইতেন। স্মৃতিভ্রষ্ট পথচ্যুত ভ্রান্ত পথিকের মত। অন্তরে অসংবৃত অবরুদ্ধ চেতনা আর বাইরে মা আমার অব্যক্ত বিষাদের করুন পাষাণ প্রতিমা। বিসর্জনের আগেই অভিসর্জন~ জীবনের নিষঠুর প্রত্যাখ্যান।

মায়ের বাড়ি গেলাম এদিন। আমার মায়ের তালা বন্ধ বাড়ী। একদিন চোটপাটে বাড়ী মাথায় করে রাখতেন মা। আজ মায়ের অন্ধকার ঘরে আলো জ্বালতেই মায়ের হাসি আমায় ছুঁয়ে গেল। ছবিতে মা হাসছেন। মায়ের বিছানা পরিপাটি করে পাতা। রঞ্জনা রোজ এসে ঝেড়ে মুছে যায় । মায়ের এলার্ম ঘড়ি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে
মায়ের মাথায় ্রামকৃষঞ রবিঠকুর আর Lord Jesus Christ ছবি। তারা যেমন আমার সুস্থ মা কে, আবার আমার রোগজীর্ণ মা কে স্মিত হাস্যে আস্বস্ত করতেন আজ আমার মায়ের ছবির দিকে তাকিয়ে তাই করে চলেছেন। আলমারি তে কাচা মায়ের শাড়ী আর maxi পাট করে রাখা। লম্বা শ্বাসে মায়ের গন্ধ বুক ভরে নেব ভাবলাম। মায়ের মত মায়ের গন্ধ ও হারিয়ে গেছে কোন সুদূরে। শুধু পড়ে আছে মায়ের ব্যবহারের টুকিটাকি। মাকে মনে পড়িয়ে।
রঞ্জনা এল মাইনে নিতে। ষাটের কাছে বয়স।আমার কাছে বায়না করলো এ পূজায় একটা fan কিনে দিতে। মায়ের আলমারি হাট করে খোলা দেখে কাপড়গুলো আবার ভাঁজ করতে লাগলো। এ দেশের মহিলা রা চুপচাপ কাপড় ভাঁজ এখনো করতে পারেনা। স্বাভাবিক ভাবেই এল মায়ের কথা। অন্য কথা যে কথা যুগে যুগে অভিভাবকহীন একাকী মহিলারা একান্তে বলতেন তাদের অন্তরঙ্গ সেবিকার সাথে।
বিকেল নামছে, মেঘের পাখায় ভর করে দিনের আলো আকাশ ছেড়ে তেপান্তরের মাঠের দিকে রওনা দিয়েছে। রঞ্জনার স্নৃতিচারণে মা 'র ঘর আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে...
তুমি বললে যাসনা খোকা ওরে
আমি বলি দেখোনা চুপ করে
ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে
ঢাল তরোয়াল ঝন ঝনিয়ে বাজে
কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে
শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা...
আমি আবৃত্তি করছি।। মা শুনছে, রবিঠাকুর, রামকৃষ্ণ সকলে শুনছে, সময়ের দেয়াল ভেঙ্গে গেছে।।স্বাধীনতা
এসেছে এনেছে মুক্তি।

Sunday, 7 August 2011

গল্প হলেও সত্যি

খুবই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সে। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি হবে। এখন বিকেল চারটে। অফিসে কাজের খুব চাপ। কিন্তু মনটা আজ বড় উত্তেজিত। অনেকদিন বাদে কলেজের এক পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হবে। ঠিক করেছে ছোটোবেলার মতো পেট পুরে চিকেন ভরতা আর রুমালি রুটি খাবে । তারপর দু কাপ চা আর আড্ডা।

বেজে গেল সাড়ে পাঁচটা। নাঃ এবার বেরোতেই হয়। নিজের হাতের কাজটা অবশ্য শেষ করে ফেলেছে সে। কিন্তু বাকিরা সবাই এখনও করে চলেছে কাজ। আসলে কাল একটা উচ্চপরযায়ের বৈঠক আছে তারই প্রস্তুতি।

হন্তদন্ত হয়ে সে হাজির হয়ে গেল আলিয়া হোটেলের সামনে। হ্যাঁ, এখানেই বন্ধুর থাকার কথা। পাওয়াও গেল। সব প্ল্যান মতোই চলতে লাগলো। সে ডুবে গেল তিরিশ বছরের আগের জীবনে। ছেলে কলেজে উঠে গেল বুঝলি কিন্তু সেই মেয়ে,বৌ,বুড়ি যা খুশী দেখার অভ্যাস্টা পাল্টালো না মাইরি। বলে সলজ্জ একটা দৃষ্টি আর দুষ্টু দুষ্টু হাসি। বন্ধুরো এটা খুবি চেনা দৃষ্টি, চেনা হাসি। বল্ল ছেড়ে দে, নাই বা পাল্টালো, এটাই তুই।

প্রায় সাড়ে সাতটা এখন। দু তিনটে ফোন এলো গেলো। একটু যেন ছটফটানি। স্বাভাবিক, বাড়ি তো বেশ দুর। বললাম তাহলে এখন এগোবি। প্রায় লুফে নিলো সে। বিদায় দিয়ে কেন যেন ফলো করলাম এক পা দু পা করে। দেখি সে চলেছে তার অফিসের গেটের দিকে। অন্ধকার সিড়ি দিয়ে ঘাড়ের ঘাম মুছতে মুছতে ১৩০/৯০ বিপির মানুষটি কাঁধের ব্যাগটা টানতে টানতে এক পা দু পা করে উঠে চলেছে। লিফট তো বন্ধ। পাঁচ তলা পৌছানো কি মুখের কথা? তবু সে ..........

অবিশ্বাস্য হলেও এ একেবারে সত্যি ঘটনা। এই 'সে' আমাদের পরম শ্রদ্ধেও সুজয় সেন।


Saturday, 16 July 2011

হঠাত্ ভাললাগা গান

কয়েকদিন আগে, নরেনদ্রপুরের এক বন্ধু - আমাদের চেয়ে একবছরের জুনিয়র, Ireland-এ ডাক্তার - একটা গানের লিংক পাঠিয়েছিল, Facebook-এ।। হালফিলের বাংলা গান সম্বন্ধে আমার খুব একটা ভাল ধারণা নেই। তাই কিছুটা কিনতু-কিনতু করেই শোনা শুরু করেছিলাম। তারপর, ভীষন ভাল লেগে গেল।গুনগুন করে গাইছি,মনের মধ্যে জায়গা করে দিচ্ছি; আনেকটা যেমন বাড়ীতে কোন প্রিয়জন হঠাত্ করে চলে এলে, ব্যস্তসমস্ত হয়ে অগোছাল বসার ঘরের জিনিষগুলোকে ঠিকঠাক করতে করতে বলি, 'আসুন, বসুন!'

গানটা শুনতে ইচ্ছে করছে, কোন নিস্তব্ধ দুপুরে, শেষ হয় না এমন হাইওয়ে ধরে drive করতে করতে, মনটাকে ফেলে আসা দিনের কিছু বিশেষ ঘটনার দিকে ছড়িয়ে দিয়ে; এটা জেনেই যে অবধারিতভাবেই কিছু স্মৃতিতে ভারাতুর হয়ে যাবে মনটা। তাতেই যেন গানটার মাধুর্য।

লিংকটা দিলাম। তোরা কেউ গানটার লেখক, সুরকার ও গায়ক সম্বন্ধে কিছু জানলে, share করিস।

http://www.youtube.com/watch?v=GrCXwJTpGgo&feature=related

Sunday, 26 June 2011

মৃণাল চক্রবর্তী চলে গেলেন।।।।

যাট-সত্তর দশকের বাংলা গান শুনে আপ্লুতবোধ করা যখন শুরু করেছিলাম, তখন আশির দশকের আনেকখানি কেটে গেছে। একটা সবেধন নীলমণি রেডিও, যা কি না আবার জাহাজী দাদার পুরনো সম্পত্তি, শুধু ভরসা। মাঝেমাঝে দেবাশিসের বাড়িতে গিয়ে স্টিরিও-তে হেমন্ত, সন্ধ্যা, মান্না, কিশোর ও আরতির গান শোনা একটা luxury-র পর্যায়ে প'ড়ত। শতকরা নব্বই শতাংশ বাংগালী যে সমস্ত গান শোনে, আমিও তাই শুনতাম। যেগুলো মন ভরিয়ে দিত, যেগুলো সাইকেল চালাতে চালাতে গুনগুন করতাম, যেগুলো প্রিয় এক বান্ববীকে শোনাবার fantasy-তে ডুবে থাকতাম, সেগুলো সবই ওই নব্বই শতাংশ-র পছন্দের মধ্যেই প'ড়ত। In other words, আমার প্রিয় গানের সংগ্রহ বেশ predictable ছিল।তবে গানের কথার মানে বুঝতে ও appreciate করতে শুরু করেছিলাম। সুরকারদের সম্বন্ধে জানাও শুরু করেছিলাম।

যাঁদের গান হঠাত্ হঠাত্ শুনতে পেতাম এবং তত্সত্বেও মন ছুঁয়ে যেত, তাদের মধ্যে দুজনের নাম বিশেষভাবে বলতে চাই। একজন শ্রীমতি সুমন কল্যানপুর এবং অন্যজন, শ্রী মৃণাল চক্রবর্তী।সুমন এখন গান না। বোম্বেতে থাকেন; শুনেছি মাঝে মাঝে পুণে আসেন অসুস্হ স্বামীর শ্বশুরবাড়ীতে। দেখা করার ইচ্ছে আছে। যদি আমাকে একবার 'মনে ক'র আমি নেই, বসন্ত চ'লে গেছে' শোনান, আবেশে ভেসে বাড়ী ফিরব।

মৃণাল চলে গেলেন কয়েকদিন আগে,খবরের কাগজের একটা ছোট্ট column-এ জানান দিয়ে গেলেন। শুনেছি FM-এর শ্রোতাবর্গের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। বেশ handsome ছিলেন, সলিল চৌধুরীর কাছে তালিম নিয়েছেন, মিষ্টি গলার ও সৌন্দর্যের মিশ্রণে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে প'ড়েছিলেন এক দক্ষিন ভারতীয় মহিলা, যিনি পরে ওনার সহধর্মিণী হয়েছিলেন। এটুকুই জানি। আমার নিজস্ব মত: ওনার গলা ও স্টাইল আনেকটা শ্যামল মিত্র-র মত হওযাতে ঢাকা প'ড়ে গেছিলেন, বাংলা গানের সেই অনন্ত talent-র যুগে জন্মে নিজের জাযগা ক'রে নিতে পারেন নি।

ওনার কয়েকটা গান গত দু'তিন দিন ধরে শুনছি:

'কেন জানি না শুধু যে তোমার কথাই মনে প'ড়ে'(http://www.youtube.com/watch?v=Wo1dZQJDFlM&NR=1)
'কথা দাও ভুলবে না গো' (http://www.youtube.com/watch?v=69VdhzoDRlA&feature=related)
'নদী চলেই যাবে জানি' (http://www.youtube.com/watch?v=Y8AXD9i4xqg&NR=1)
'তুমি এলে চম্পা ফুটেছে কি তাই' (http://www.youtube.com/watch?v=GgptnbXk8lk&feature=related)
'পথ নির্জন চলো না এখন দুজন কোথাও গিয়ে বসি, পাশাপাশি' (http://www.youtube.com/watch?v=YI1NH78wPwQ&feature=related)

তোদের কারো কাছে কি ওনার গানের কোন collection আছে? কেমন লাগে ওনার গান?

Wednesday, 15 June 2011

আমার মেয়ের School Magazineএর লেখা

MEETING A LEGEND…….. SOURAV GANGULY

Aryaa Bhattacharya Class: IV-B Roll No.:01

Maharshi Vidyamandir Sr.Sec School,Silpukhuri, Guwahati

22nd March, 2011 is a memorable day for me; it will last in my memory, life long as a treasure. During this period I visit my paternal house at Behala, Chowrasta, Kolkata. Which is happened to be the nearby residence of Sourav Ganguly, the famous Cricketer, former Cricket Captain of India. I love Cricket, and I always dream that I am playing and talking with Sourav Ganguly… In this vacation I get a chance to meet him almost unexpectedly.

Usashididi, is the daughter of my Father’s friend Santanu Uncle, is brillent in studies and quiet older than me. She loves me very much. During this holi (Dol Jatra) my parent and me are invited for dinner at Usashididi’s residence. Usashidi plays with me many types of funny mathematical puzzles and games. She is also teaching Mathematic to Sana, the only daughter of Sourav Ganguly. Usashididi asks me, “would you like to go Sourav’s house?” I promptly reply, “Yes, I will go”. As I know that such opportunity does not come frequently. It is decided that on 22nd March,2011, it was a Wednesday. (Usashididi goes to teach Sana every Wednesday), I would also accompany her. On that memorable Wednesday, as per the plan, I was eagerly waiting with my father for Usashididi to come from her Jadavpur University.

As soon as she comes I accompany her to go to the Sourav Ganguly’s residence. We enter Sourav’s residence, crossing a big lawn. Many big cars are parked inside. We finally enter Sana’s study, crossing big hall. I watch that Sana is doing her homework, with the help of her mother Dona Ganguly, Sana also is studying in class IV like me. She studies at Loreto Convent, Kolkata. Usashididi introduces me with Sana and Dona Aunty. We become friend. We play and do some sums even. Suddenly I hear a familiar voice of Sourav Ganguly, and find that he enters in our room and asks, “Oh! Mother and daughter both are studying?” Dona Aunty replies, “Yes both are studying, you have no time to see all these,” Sourav Uncle starts laughing hearing the reply. Then Sourav Uncle calls me near to him, asks me who am I? What is my name? Which class do I study? What is the name of my school, name of my friends, how I like my school etc etc. Dona Aunty also talks me for long. After that both Sana and I obtain 10/10 in math’s test, which Usashididi gives us. There I eat Sweets and Juice. Then I return with Usashididi. Sana, Dona Aunty and Sourav Uncle are so nice to me that I never feel scared. I forget to take camera with me. Still the picture of this meeting will remain in my memory forever.


এখনও অপ্রকাশিত, আগে এখানে প্রকাশ করে দিলাম। ১৫।০৬।১১

Monday, 30 May 2011

Tora sabai lekha-lekhi korchhis r ami parchhi na....nijeke kemon left out lagchhilo...abosheshe Thak-er Bill'er(Gates!) sharonaponno holam....sange sange upayy-o beriye gelo....toder sange aabar ek sathe cholte parbo...(jodiyo goutam-ta idaning lekhar byapare mon diye dourote shuru korechhe!). Kal S.N Roy road-e gechhilam ekta kaj-e,mone hochchhilo Thek-ta te giye ektu pichhon-ta thekiye aasi,20 bachhar aagekar onubhuti-ta ekbar jhaliye neoya r ki...holo na,lajja korlo....chhele ke ese feeling-ta ektu share karar cheshta korlam....'Ja hariye jayy,ta aagle bosey roibo koto r...'
parlam bole mone hochchhe jeno.....

Thursday, 26 May 2011

হিজিবিজি

সবাই একসাথেই দৌড় শুরু করেছিলাম…

হঠাৎ এ কথাটা মনে হওয়ার কারণ ! হাতড়ে বেড়াচ্ছি। ও! মনে পরেছে।

আমার এখনকার Flat-owner,ভাল লোক।দিল্লীতে থাকেন।গত তিনবছরে কোনোরকম বিরক্ত করেননি। দেওয়ালে কোথায় পেরেক পুঁতেছি কি না, খুঁজে দেখেননি। ভাড়া ঠিক সময় জমা অবশ্য পড়ে যেত।যদিবা এক দুবার আমার ভুলো মনের জন্যই দেরী হয়েছে। কখনও ফোনে reminder দেন নি।সেদিন flat-owner দিল্লী থেকে সরাসরি আমার কাছে এসে হাজির।মুখে দারুণ প্রসন্নতা।কিছুসময়ের মধ্যেই জানতে পারলাম এই খুশী খুশীভাবের কারণটা।ওনার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।পাত্র গৌহাটীর,তবে চাকরীসুত্রে বাইরে থাকেন।কথায় কথায় যা বোঝা গেল,ওরা অদূর ভবিষ্যতে তো নয়ই,কোনোকালে গৌহাটীতে বসবাস করবে কিনা সন্দেহ আছে। তবে flat-ownerএর ইচ্ছে, তাই উনি মেয়ের বিয়েটা গৌহাটীর নিজগৃহ থেকে দেওয়ার ইচ্ছা (যদিও দিল্লী ও অন্যত্র নিজের Flat আছে)। সুতরাং আমাকে flat খালি করে দিতে হবে।

এরমধ্যে,মাঝেমাঝেই বন্ধুদের sms আসে। বেশীভাগই হালকা,চটুল চুটকি বা তোতাপাখির মতো আওড়ানোর জন্য Management training এর কিছু বুলি বা quotation।আর সবকিছুতেই আমার কাজ হ’ল reply option-e গিয়ে কয়েকটা চটুল চুটকি পাঠিয়ে দেওয়া।বন্ধুবান্ধবীদের আশীর্বাদে চটুলচুটকির ভাড়ার(inbox)আমার বড়ই স্ফীত। মাঝেমাঝে আরো কিছু sms আসে,যেমন , সুময় পাঠালো,’কাল মানবের সোনারপুরের নতুন flat দেখে এলাম। centrally Air-conditioned। খুব সুন্দর interior decoration। মানবের’ত ভবানীপুরে নিজের flatছিল, আমি ভাবি। বা অতনু লিখলো,’একটা ভালোখবর আছে,আমার মেয়েটা Bombay IITতে M.Techএ পেয়ে গেছে’। কখনওবা সুময় লিখলো,’জিনিষপত্রের ভীষণ দাম বেড়েছে,রাজারহাটে নতুন flatটার Budget অনেক exceed করে গেছে’। আমি ভাবি ত্রিশবছর বয়েসে সুময়’ত নিজে দাড়িয়ে বাড়ি বানিয়েছিল, আবার flat কিনতে গেল কেন! শুনলাম,’ভাই রে ভাই,মেয়েটার জন্য একটা করে রাখলাম।যা দিনকাল আসছে’। আবার কখনও প্রবাল লিখলো,”দাদাভাই এসেছিল,এই মালয়েশিয়া,সিঙ্গাপুরে,তাই দিনতিনেকর জন্য গিয়ে একবার দেখা করে এলাম”। বা অনেকদিন কোনো sms না পেয়ে প্রবালকে লিখলাম,”কিরে চুপচাপ কেন?” reply এল,”নাহ্ রে,একটু ব্যস্ত ছিলাম।হঠাৎ একটা কাজ পেয়ে গেলাম,১২দিনের জন্য ইজ্রায়েল যেতে হয়েছিল। জেরুজালেম টা দেখে এলাম ,বুঝলি”।এইভাবে আর কিছু মনে হত কিনা জানিনা,তবে বেশ সবার সাথে আমিও বেশ frequency মিলিয়ে চলতে পারছি বোধ হত।

আবার কখনও মানবের sms এরকম। “অনেক কষ্টে visaটা আজ হাতে পেলাম।20th থেকে 30th যাচ্ছি Europe। Just vacation-এ”।

প্রমিত মাঝে মাঝে sms বা email করে, কখনওবা সোমালিয়া কখনও বা মার্সেই থেকে। আবার প্রশান্তমহাসাগরে সুনামীতে যখন জাপান বিধ্বস্ত,প্রমিত তখন প্রশান্তমহাসাগরের অন্য কোনো কোণায় ভাসতে ভাসতে,ওর চোখে দেখা চারধারের অপরূপ প্রকৃতির ছবি আঁকছে- ভাষা দিয়ে। তা’ emailএ পাঠিয়ে দিচ্ছে।

রাজীবটা আজকাল বড় চুপচাপ।তবুও শুনলাম,কাজের জায়গায় কি একটা করে,ভীষণ বাহ্ বা কুড়িয়েছে।দেশের পুরস্কার তো পেয়েইছে।আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

দেবজ্যোতি বিশেষ যোগাযোগ রাখে না। তবে New year; বিজয়াদশমী এসবে শুভেচ্ছা পাঠাতে কখনওই ভূলে যায় না। সেদিন হঠাৎ ফোনে বলল,”শোন,তোদের চৌরাস্তায় Marlin Gardens-এ আমার একটা Flat আছে(ও বাবা ওখানে Sourav-বাংলার গৌরব Gangulyর flat আছে শুনেছি)।তালা বন্ধ পরে আছে,’দেখিস’ত একটা ভাল ভাড়াটে পাওয়া যায় কি না’, বা ‘ওখানে এখন কি Rate চলছে। ভাল দাম পেয়ে গেলে বেচে দেবো।সবকিছুতেই আমার প্রাপ্তিস্বীকার একটা হালকা অপ্রাসঙ্গিক চটুল চুটকির sms পাঠিয়ে।

পান-সিগারেট দোকানের সামনে দাড়িয়ে রাজামাপ-এর সিগারেটে টান দিচ্ছি।এক ঝটকায় মাথায় সবচিন্তা মাথায় বয়ে যাচ্ছে।আমার’ত বন্ধুদের তুলনায় ছোট-বড়,কম-বেশী,সফল অসফল কোনোদিন মাথায় আসেনি।একজনকে বড় দেখাতে,অন্যকে ছোট করা বা কাউকে ছোট করতে গিয়ে অন্যকে বড় দেখানো,এ তো বেশীভাগ মানুষের প্রকৃতি। আর এখন News channel/Newspaper গুলো’ত এই বিক্রী করেই মুনাফা কামাচ্ছে। আজ মাথায় এসব চিন্তা আসছে। Just একটা কথায়,”flatটা ছেড়ে দিতে হবে”।

আমার এতোদিনের ধারণা ছিল,আমরা সবএকসাথেই দৌড় শুরু করেছিলাম। আর আমি slowly and steadily পিছিয়ে পড়েছি।অনেক ভেবে দেখলাম,আমার এই ধারণা শুধু ভুল যে তাই-ই নয়। এইধারণা আমার সহপাঠী, সহযোগী, বন্ধুদের কিছুটা অসম্মান,অকৃতজ্ঞতা দেখানো হয়ে যায়। বাস্তবে ওরা আমার সাথে দৌড় শুরু করেনি। ওরা আমার জন্য দাড়িয়ে অপেক্ষা করেছিল।আমাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।আমি ভুলেই গেছিলাম,আমার প্রকৃত ক্ষমতা। ভাবতে শুরু করেছিলাম, আমি ও ওদের সমকক্ষ।

আজ flat ছাড়ার notice পাওয়ার পরেই,একটা ভাড়াবাড়ী খুঁজতে বেড়িয়ে দেখছি, কিছুতেই একটা পছন্দসই বাড়ী পাচ্ছি না।যদিবা পাই, আর একচিন্তা মাথায় ঘুরছে।দু-এক বছরপরে আবার এই বাড়িওয়ালা যদি বাড়ি ছাড়ার notice দেয়!...উপলব্ধি করলাম। আমি অনেক পিছিয়ে পরেছি। অনেক যোজন পিছনে।গতি বাড়ানোর ক্ষমতা নেই।ভীষণ হাঁফ উঠছে।দমবন্ধ করে দিচ্ছে।সিগারেটে আরো ঘনঘন টান দিচ্ছি। হঠাৎ এক বেশ পুরুষালী আওয়াজ কানে এল।“জেব মে রূপাইয়া হ্যায়,নিকল্ কে লিজীয়ে।অউর এক ঠাণ্ডা Frooti দিজীয়ে তো”। কথাটা শুনে না তাকিয়ে থাকতে পারলাম না।দেখি! একটা ভিখারী,হ্যাঁ একদম পুরোদস্তুর ভিখিরী, ওর কণুইয়ের পরে হাত দুটো নেই। সে Frooti চাইছে,দাম পনেরো টাকা।এই প্যাঁচপ্যাঁচে গরমে এটাই তার বিলাসিতা।

******

সেদিন ডাঃ বিনায়ক সেন-এর interview শুনছিলাম। ছত্তিশগড়;ঝাড়খণ্ড;ওড়িশা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তপশিলী জাতির 50% আর উপজাতির 40% এরই Body-Mass Index 18.5 এর কম। UN Scale এ এইসব এলাকা Famine affected declare করা উচিত। এইসব লোকের নিজস্ব Natural Possession বলতে জল;হাওয়া আর কিছু জমি।সেগুলোও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। This is also a type of violence- the Structural Violence…

সর্বশক্তিমান আমায় দুটো সবল হাত,পা ও চোখ দিয়েছে,মাথা দিয়েছে।সর্বোপরি প্রায় নীরোগ একটা দেহ দিয়েছে। আর কি চাই? এ সব শুনে সুময় হয়তবা বলবে,”ব্যাপারটাকে বড় simplify করে দিচ্ছিস।“

আসলে আমি go-getter type নই। নিজের দাবী,চাহিদা,প্রয়োজনীয়তাকে ঠিক ঠিকভাবে চিনতে শিখিনি। যদিবা শিখেছি, সেই চাহিদাগুলোকে সম্মান করতে শিখিনি। পেতেই হবে,achieve করতেই হবে-ভাবটা কোনোদিনও এলো না, আর আসবেও না…

Tuesday, 24 May 2011

প্রথম ভাগ

যা শালা পারলাম কি তোদের ছুঁতে

১২ মাত্রার সবুজের দেশে

প: ইয়োরোপের এই দেশটাকে ব'লা হয় 'Land of 12 shades of green'; বাংলায় দাঁড়ায় '১২ রকম সবুজের দেশ'!দেশটার ভুখন্ডের দিকে আকাশ থেকে তাকালে না কি সত্যিই দেখা যায় মনভরানো সবুজের সমারোহ, ১২ রকম ঘনত্বের রকমফেরে হয় চোখের পরিতৃপ্তি।

তা, Ireland-র আকাশ চিরে উড়ে গেছি মাত্র একবারই, আমেরিকার পূর্ব উপকূলে পাড়ি দেওয়ার সময়। কিনতু, Amserterdam-New York-Amsterdam flightটা, দুবারই Ireland-র আকাশ অতিক্রম ক'রে গেল অন্ধকারের মধ্যে। জানালা দিয়ে ঘুমচোখে উঁকি মেরে দেখেছিলাম ঘুমিয়ে থাকা সেই সুন্দর, ছোট্ট দেশটাকে; যেখানে প্রায় পাঁচ বছর কাটিয়েছি, গত শতাব্দীর শেয বছর থেকে শুরু ক'রে।না, ১২ রকম সবুজের সমারোহ দেখা হয় নি কখনও। কিন্তু দেশটা যে সবুজে আগাপাশ্তলা জড়ানো, সেটা বসবাসকালে সম্যক দেখেছি ও বুঝেছি। বছরে প্রায় ৯ মাসই বৃষ্টি হয়, সাথে জোর হাওয়া আর উঁকি মারতে আলসেপনা করা সূর্য্য। চারপাশে সমুদ্র; ফলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে প'ড়ে যে কোন দিক উদ্দেশ্য করে চললে প'রেই সমুদের দেখা পাওয়া যাবে,খুব বেশী হলে ঘন্টা পাঁচেকের মধ্যেই। অমায়িক, হাসিখুশী, কথায়-কথায় রসিকতা করতে সড়গড় আইরিশদের সাথে বন্ধুত্ব করতে কোন বিশেষ চেষ্টা করতে হত না। Bank-র Manager থেকে পাড়ার pub-র পরিচারিকা, অফিসের বস্ থেকে মাংসের দোকানের দোকানী - সবাই অন্তত: একবার মশকরা করতে পারলে যেন খুশী হয়।আমাদের বাড়িটা ছিল Leopardstown বলে একটা জায়গায়, Wicklow পাহাড়রাজির কোলে। একবারেই আইরিশ অধ্যুষিত এলাকা। আমাদের পড়শি কেভিন আর বার্ণি, আর তাদের দুই ছেলে: স্টিফেন আর রবার্ট; সাহায়্য করতে যেন মুখিয়ে থাকত। অলির সব বন্ধুরা ঢেকে নিয়ে যেত খেলতে: জ্যাক, রবার্ট, ফিওনা, মেরী। আমরা বাড়িতে সবসময় বাংলায় কথা বলতাম ব'লে, ছোট্টবেলায় অলি একদমই ইংরাজী জানত না। কিন্তু, আইরিশ বাচ্চাগুলোর সাথে কথাবার্তা চালাতে কোন অসুবিধা হয়েছে ব'লে শুনিনি। আর গায়ের রং নিয়ে কোন তির্য্যক মন্তব্য? একবারই একটি বাচ্চা ব'লেছিল কিছু একটা, একেবারেই হাল্কাচালে। কি ব'লেছিল আজও জানি না। কিন্তু তার বাবা সংগেসংগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ছেলেকে দিল প্রবল বকুনি আর অলিকে (৩ বছর বয়স) ডেকে বলল 'সরি'। পরে অলি এসে ঘটনাটি ওর ভাষায় বর্ণনা করায় আমরা এই ব্যাপারে অবগত হলাম।

গত রবিবারে, আনন্দবাজারের রবিবাসরীয়তে রংগন চক্রবর্তীর লেখাটা প'ড়ে হঠাত্ সব স্মৃতিগুলো ফিরে এল। সারা সপ্তাহ ওগুলো আমায় ঘিরে থাকবে মনে হচ্ছে।

Wednesday, 18 May 2011

ABIRBHAV

amaader-e-thek e amar pravesh

Bhabechhilam aloron jagiye abirbhab korbo, Parlamna,kshmota nei...

tai pravesh korechi ki na bujhte ei Post...karor jonno noy sudhu amar-e jonno...

Sunday, 15 May 2011

পরিবর্তন বা বদল - যা বলিস......

একটা দু:সংবাদ আছে। সাথে অবশ্য আছে একটা সুসংবাদও।

আমাদের পূর্ববর্তী এবং প্রথম ব্লগ - যা গত কয়েকমাস ধরে আমরা লিখছিলাম এবং খানিকটা অভ্যস্তও হয়ে গিয়েছিলাম - discontinue করতে হয়েছে। ভুলটা আমার; ব্লগ administer করার জন্য বিশেষ password-r দরকার প'ড়ে। আমি তা বানিয়েছিলামও, কিন্তু ভুলে গেছি। অনবধানতায়, তা কোথাও লিখে রাখি নি। কোলার email address-টা জুড়তে গিয়ে বুঝলাম বড় ফ্যাসাদে প'ড়ে গেছি। ওই administrative password ছাড়া কোনরকম maintenance করা অসম্ভব।

তা, blog discontinue করতে হয়েছে ব'লে, ঠেকের ঝাঁপও বন্ধ করতে হবে? পাগল না কি?

তাই নতুন ব্লগ বানিয়েছি, নাম দিযেছি 'আমাদের-ই ঠেক'; একটু রদবদল করে নিয়ে প'ড়লে ওটা দাঁড়াবে 'আমাদের ই-ঠেক' ('e-Thek', in the sense equivalent to 'e' in e-Mail). অর্থাত্ কি না, আমাদের ইলেকট্রনিক ঠেক।  নামটা আশাকরি তোদের পছন্দ হবে। পুরনো সব ব্লগ গুলোকে এই নতুন ব্লগে তুলে এনেছি (almost 95% of them), আর 'ডাইরীর ছেঁড়া পাতা' (ফাদার দ্য তিয়েন, ম'নে প'ড়ে কারো?) নামের একটা archival ধারায় সেগুলোকে সাজিয়ে রেখেছি। যে কেউ গিয়ে খুঁজে প'ড়তে পারে, গত কয়েক মাসে আমাদের 'মনম্যাপ' কেমন ছিল।

তোদের সবার কাছে ব্লগে লেখবার জন্য আমন্ত্রন যাবে। গ্রহন করিস। তারপর ব্লগে লেখার তোড়জোড় শুরু করে দিস্, নতুন উদ্যমে। প: বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনও আনবে কি না, সময় বলবে। কিন্তু য়ে কোন পরিবর্তনের ভেতরেই নতুন সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে, এটা অনস্বীকার্য্য। তা সে লালবাড়ির ঠেকের change-log-ই হোক, আর আমাদের সাধের ঠেকের blog-ই হোক।














Saturday, 14 May 2011

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ২১ (৭ই এপ্রিল, ২০১১)

শুদ্ধবাংলা




বন্ধুবরেষু,
অকস্মাৎ আমার মুক্তি পিছাইয়া গিয়াছে।অতএব কেউ যদি মনে করো বিশ্বকাপ জয় অথবা অন্য যে কোনো কিছু নিয়ে দু’কথা বলবে,তা’হলে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।
কোলা
৬/৪/১১
অকস্মাৎ এইরূপ হইবার কারণ জানাইলে কিঞ্চিৎ নিশ্চিন্ত হইতাম। শঙ্কা হয়,আপনি জলচর-এ রূপান্তরিত হইয়া না যান। কোনোদিন দেখিব আমাদিগের অমিত-এর অগ্রপদযুগল মীন-এর ন্যায় পাখনা(fin)য় রূপান্তরিত হইয়াছে।
গৌতম ভট্টাচার্য্য
৬/৪/১১
সে কিরে! এবার মে মাসে তুই গৌড় পাণ্ডুয়া নিয়ে যাবি ভেবেছিলাম… দেরী কেন? নামবি কবে?
সুজয়
৭/৪/১১
আমার গাঢ়টি মারিয়াছে! এইরূপ শুদ্ধবাংলায় আলাপচারিতায় যথেষ্ঠ শঙ্কিত ও দ্বিধাগ্রস্থ হইয়া পরিয়াছি।মাতৃভাষা যতদিন দুগ্ধ ছিল,নিরুপদ্রবে পান করিয়াছি। অদ্য দেখি উহা ক্ষীরে রূপান্তরিত এবং পৈতিক গণ্ডগোলের অন্যতম কারণ হয়,আমার দূর্বল অন্ত্র তাহা সামলাইতে পারে না।
তাই,আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, জাহাজী সেন এবং কেতাবী ভট্টাচার্য্যি মহাশয়দ্বয় যদি সাদা বাংলায় অর্থাৎ ‘মা-মাটি-মানুষ’এর ভাষায় ফিরিয়া আসেন,অত্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকিব।
নিবেদন ইতি
নির্মাল্য
৭/৪/১১

3 comments:

chhotkan said...
Jah babba! bhablam suddho bangla-y ektu kotha bolbo... r bolchhe ki na, ek Jatra-pala-r nayika-r dhong-e ultopalta bokte...
Nirmalya said...
'মা-মাটি-মানুষ'-টা একটু মজা করার জন্য আর কিছুটা তোদের উষ্কে দেবার জন্য লিখেছিলাম। Post-টা ভাল করেছিস।বাকি বান্চোত্ গুলো কোন comment করল না কেন? শব্দটা 'পৈতিক' হবে না, 'পৈটিক' হবে। একটু Edit করে দিস।
santanu roy said...
বাকি __ দিগের একজন, দুগ্ধজাত ভাষায় আমার আজও অনাবিল আগ্রহ । টিটোবাবুর বিন্যাস বিশেষ সাহিত্য গুনে ব্যাঙ্গরসে শিবরাম বা নারায়ণ স্পর্‌শ করিয়াছে । ইহা দেখিয়া সনির্‌বন্ধ অনুরোধ দুইবেলা LOMOTIL সেবন পূর্বক দু চার ছত্র প্রেরণ করিয়া যান নিয়মিত । ইহাতে দেশ ও দশ বড়ই উপকৃত হইবে ।

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ২১ (২রা এপ্রিল, ২০১১)

সন্জীবের কেরামতি




আমাদের অন্যতম 'ঠেকি', BOC-র উচ্চপদস্থ আধিকারিক, গুড়াপ-নন্দন, 'মুড়িধন' (এই sobriquet-টা কোলার দেওয়া) সন্জীব মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি তাঁর কর্মস্থলে অসামান্য অবদানের জন্য প্রশংসিত ও সম্নানিত হয়েছেন।বলা বাহূল্য, আমরা অন্য ঠেকিরা সন্জীবের এই সাফল্যের খবরে খুব খুশী।

সন্জীবের পাঠানো project synopsis প'ড়ে যা বুঝলাম, তা এইরকম:

দেরাদুনের (উত্তরান্চল) কাছে সেলাকি বলে জায়গায় BOC একটি 'বায়ু পৃথকীকরন' (Air Separation) Plant (capacity: 221 TPD) বানিয়েছে। সরকারী দফতরের গড়িমসির কারনে কাজ শুরু হয় দেরীতে। কাজ চলাকালীনও অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় BOC team-কে। শেষত:, plant-টি commissioned হয় ২০১০ সালের জুন মাসে, নির্ধারিত সময়ের আগেই, budget-r ১৮% কম খরচে।সন্জীব এঐ project-r একজন Team Leader হিসেবে কাজ করেছে। কর্তৃপক্ষ ওর কাজের তারিফ করেছেন এবং সেই সুবাদেই সন্জীব 'Best Project Team Leader' মনৌনীত হয়েছে।



আগামী ১১ই মে,২০১১, সিংগাপুর-এ (বা মালয়েশিয়া বা চীন-ও হতে পারে, এখনও ঠিক হয় নি) 'Best Aian Project' প্রতিযোগিতায় সন্জীবের project সামিল। আমরা আশা রাখি, সন্জীবকে ওখানেও সম্নানিত করা হবে।

1 comments:

chhotkan said...
Bah! Bah! Sanjib ki korechhis re1 GREAT!!! Chaliye ja Guru. Tor Misti paona roilo. Jato dur jabi tato Misti khaoabo. Antarik Suvechchha roilo... Mohua r meye ke o suvechchha for the unconditional Support they have extended to you...

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ২০ (২রা মার্চ, ২০১১)

অমিতের লেখা ১লা মার্চ ২০১১



আরে না না,আমি জানার কৌতুহলবশতঃ: এমনি জানতে চাইলাম। আমার লেখা আবার ছাপবার জায়গায় গেল কোথায়? হয়তো একদিন যাবে,সেদিন তোকেই বলবো।আর না হলে আমরাই আমাদের মনেরপাতায় অনুভূতির যে আঁকিবুকি কেটে গেলাম(এই Blog-র দৌলতে)সেই রঙেই রঙীন থেকে যাবো।সময় হলে একজন একজন করে আকাশে উড়ে যাবো,ছেলে মেয়েদের হাত ফস্কানো গ্যাসবেলুনের মতো।কষ্ট একটু হবে!সুতো ছিঁড়লে কার না কষ্ট হয়।
ওখানে মেঘের দেশে ঠিক আবার দেখা হবে,তাই না বল? সেই দেশে যেখানে শুধু গাছে গাছে রূপোর ডালে সোনার পাতা, মণিমুক্তোর ফুল আর হীরের ফলই দোলে না,যেখানে খোলা প্রাণের গলা জড়িয়ে অতীত থাকে শুয়ে।লাইব্রেরী থেকে বই টেনে বের করার মতো এক-একটা পুরানো দিন টেনে বের করা যায়।যেখানে মাঠে খেলতে নামার আগে পুরনো জার্সি পরিয়ে দেওয়ার মতো পুরনো দস্যিপনা আবার অঙ্গে লেপ্টে দেয়,উন্মুক্তো বাতাস….যেখানে ব্যস্ত সময়ও আলসেমিতে থমকে দাড়ায় মেঘের জলে নাইবে বলে।
ওখানেই ঋত্বিক সত্যজিৎ-এর ছবি চলে,চাঁদ সূর্যের আলোয় সেট তৈরী হয়।ছবি বিশ্বাস আসে,কমল মিত্র আসে।খোলামাঠে মাইকে লোক ডেকে ডেকে সেসব ছবি দেখানো হয়।দেখার চাইতে, দেখতে যাওয়ার উত্তেজনা বড্ড বেশী।উত্তমকুমার অভিনয়ের টানে কুয়াশাকে কাঁদায়…ঝমঝম করে বৃস্টি নামে।ওখানেই কাশ্মীর,ওখানেই শিলং,ওখানেই ডাললেক,ওখানেই গড়েরমাঠ,ওখানেই শঙ্খচিলের সাথে Wind-surfing।ওখানেই বাবলুদের বাড়ির তিনতলা থেকে ওড়ানো লাটখাওয়া ঘুড়ির সাথে Para-gliding।ফুচকাওয়ালা টিং টিং ঘণ্টায় সন্ধ্যা নামে।তারপর ট্রামে চড়ে তারা আসে ঝিকমিক চশমা চোখে পড়ে।পূজোয় নুতন জুতো কিনে বাটার দোকান থেকে বিনিপয়সায় পাওয়া।
ওখানেই স্বাতী,ওখানেই নন্দিনী,ওখানেই মধূমিতা,ঈশিতা,নীতা…আবার তৃষ্ণা অথবা জয়িতা…সকলেই এখন অভ্র-দ্বিতা (মেঘের মেয়ে)।ওদের কারোর স্বপ্নপূরণ হয়েছে,কারো কারোর হয়নি।ওদের পুঁজি(asset)বলতে হাসিখুশি মলাটের ছবি,আদর্শলিপি-র বিদ্যাসাগরের হাসি অথবা বৃত্তিপরীক্ষা-র পুরনো প্রশ্নমালার ভিতর ঠাকুরমার গায়ের গন্ধ।শাড়ীগহনা কি আর শরীর ভেদ করে মনে ঢুকতে পারে?আবার সংসারের গ্লানিও কি এইদেশের বৃষ্টিতে লেগে থাকতে পারে?সব ধুয়ে মুছে যায়।এখানে আমার স্ত্রী নির্দ্বিধায় আমার হাত ছেড়ে ওদের সাথে গিয়ে বসে…কোনো উষ্মা নেই,বিভেদ নেই। আবার নিশ্চিন্তে যেকোনো লোকের হাত ধরে যেকোনো রাস্তায় কানামাছি খেলতে চলে যায়। কোনো গণিতের হিসেব নেই,ভালমন্দ বিচার অবিচার নেই…এখানে সকলেই বন্ধু।শম্ভুদার সিড়িরঘরে হাঁসের ডিম ফুটে,পাখির জায়গায় কোমল সূর্য বেড়িয়ে আসে। Tele-tubbiesএর সূর্য খিলখিলিয়ে হাসে আমার মনে-সব অমূলক দুশ্চিন্তা…আলোর ঝর্ণায় কাঁচ হয়ে খান খান হয়ে যায়।
সেই দেশ বন্ধু…মেঘের দেশ…মনের দেশ…লিপ্সায় উন্মত্ত ডাকাতের দল,আরো কি করবে আমার mai-er(বুঝতে পারিনি)বুক থেকে করুক।কই আমার মন থেকে কবিতা মোছাতে পারবে কি?
আজও আছে গোপন…ফেরারী মন
বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন।
ভাল থাকিস, ইচ্ছে হলে সবাইকে পড়াস,মনের দেশে সবার berth রিজার্ভ করে রেখেছি।
আমার সংযোজন: লেখা Publishকরতে হলে,কি করতে হয়? অমিত আমাকে শুধিয়ে ছিল। Reply দিয়েছিলেম। সঙ্গে জুড়ে ছিলেম। তোর লেখা ছাপাতে চাইছিস কি? তার উত্তরে অমিতের এই লেখা।মনে মনে চাইছিলাম আমার এই সম্পদ কারোর সাথে shareকরবো না। শীতের রোদে পিঠ দিয়ে একলা বসে রসিয়ে রসিয়ে চেটেপুটে খাব।তবে ঠেকের অলিখিতবিধি আর অমিতের শেষ দুটো লাইন অমান্য করতে পারলাম না।

3 comments:

sujoy said...
উফফ...কি লেখা রে,আর সেই সঙ্গে ঝরঝরে অনুবাদ...সপনে দেখা কবিতা...তোরা মনটা ভরিয়ে দিস,ধন্যবাদ....কাল মানস,শানতনু আর আমি মানসের ক্লাবে বসেছিলাম
chhotkan said...
Dush! eta amar anubad noy re.. ki je bolis, Amit-er lekha ami anubad korbo? Amit english haraph-e likhechhe r ami se bangla haraph korechhi matro.
Nirmalya said...
বো*চো*টা এক‌একটা এইরকম লেখা লিখবে আর আত্মগ্লানিতে আমাকে ভরিয়ে দেবে: কেন এইরকম লেখা হাজার চেষ্টা করেও লিখতে পারি না? ভাষা জানা এক জিনিয, আর নিজের কথা এইভাবে তুলে ধরাটা (express) সম্পুর্ণ আলাদা জিনিয! লক্ষ্য করে দেখ: চিন্তাগুলো যেন মনের মাঠে এধার‌‌‌-ওধার, ইতিউতি ছুটে বেড়াচ্ছে, আর কোলা বসে বসে এই অবিরাম ছুটোছুটির ভেতর লুকিয়ে থাকা গল্পটাকে তুলে ধরছে, পাকা commentator-এর মত।

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ১৯ (৩০শে জানুয়ারী, ২০১১)

কোলাকথন: Dateline 27th January,2011, মার্সেই বন্দর, ফ্রান্স

Good day, my friend!

আজনবী (আমার ID: নির্মাল্য), তুমি চুপ কেন?কাজের চাপ? তাই হবে বোধহয়। কাজের চাপ? তাই হবে হয়ত। আমি এখন ফ্রান্সের লাভেরা বন্দরে; নামটা অচেনা লাগল? যদি বলি মার্সেই (Marseilles) তাহলে বোধহয় চেনা লাগবে। অনেক ক্লাসিকে মার্সেই-র নামটা পাওয়া যায়। কাল একটু বেরিয়েছিলাম। দক্ষিন ফ্রাম্স, তাই নীল আকাশ, পরিষ্কার আয়নার মতো সমুদ্র। তাপমান '+'-এ, +৫ ডিগ্রী। এখানে আজ যারা এল, বলল মিউনিখে ভীষন বরফপাত হচ্ছে। সেই মিউনিখ, যেখানে ১৯৭২ অলিমপিক চলাকালীন ইজরায়েলি এথলিটদের ওপওর গুলি চলেছিল। মারা যায় কয়েকজন (১১ জন: নির্মাল্য)।

এখানের রাস্তাঘাট যেমন হয়: ঝকঝকে আর শুনশান-নির্জন। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। USA-র Wall Mart-র মত, ফ্রান্সে 'auchan' ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে।সেখানেই গেলাম, জিনিষপত্র অবশ্য সেই একঘেয়ে; সেই french perfume, 1-terrabite portable Hard disk, GPS set, X-box athoba Play Station, Chocolates, Digital camera, WiFi-USB, iPAD, Android...ইত্যাদি। ধ্বসে যাচ্ছে, ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে, রোজ এখানে কোন না কোন worker sector, token strike করছে, তবু ঠাটে-বাটে, ভোগের অজস্র সামগ্রী সাজিয়ে বসে আছে। শান্ত, অবসরপ্রাপ্ত লোকেদের শহর, মুখচুন পলিতকেশ বৃদ্ধবৃদ্ধা, স্রেফ রসদ কিনছে বেঁচে থাকার জন্য, গোটা সপ্তাহের খাবার-দাবার। Mobile phone sector-এ কিছু ভীড় নেই। কিছু চাইনীজ, ফিলিপিনো আর ভারতীয়দের ভীড় আছে Electronics আর perfume sector-এ।।এশিয়, the sleeping giant is turning on the bed. কিছু চকোলেট কিনলাম, খাব বলে।তারপর Mcdonalds-এ ঢুকলাম।আমি বাইরে 'pure veg'. কি খাব? 12 Euro-র আলুভাজা কিনে সাঁটালাম. উঁহু, ফরাসী দেশে একে ফ্রেন্চ-ফ্রাই নয়,Friture...উমম্... কি যেন একটা বলে! তরকারীতে দেওয়া অর্ধচন্দ্র আলু, ওপরটা 'deep fry', ভেতরটা নরম।আমাদের দেশের Mc-এ পাওয়া যায় বোধহয়। কোনদিন try মারিনি, ইচ্ছেই হয়নি।

আমি ক্রমবর্ধমান Indian economy-র অংগ। তাই সম্মানিত অতিথি। Counter-এর "Esmerelda" মিষ্টি হেসে পাঁচ প্যাকেট mayonnaise আর sauce টেবিলে এসে দিয়ে গেল।ভারী মিষ্টি হাসি, বিশ বছর আগে কেন দেখা হল না? ফ্রান্সের সমুদ্র - আর ওর পাখির মত চোখ দারুন খাপ খাচ্ছিল। হাসিটা য়েন অন্ধকারে ৩-ব্যাটারী eveready টর্চের মত উজ্বল। চোখ ফেরানো যায় না! 'ভাল থেক, সুম্দরী'। নিজের chocolate-র দুটো বড় 'বার' ওকে দিয়ে দিলাম। ফোয়ারার মত হাসি আমায় ভিজিয়ে দিল। এক নি:শ্বাসে French-এ অনেককিছু বলে গেল। গলায় উত্তেজনা আর আন্তরিকতা...তবু কিছুই বুঝলাম না। আমি যে আজ সম্রাট আকবর, আমর সভায় প্রত্যেককে নিজের গলার মালা খুলে পরিয়ে দেওয়ার দিন আমার আজ।কুড়ি বছর আগে ওর মত কাউকে দেখলে কি হত? কিছু না। ঘর বাঁধার একটা উন্মাদনা থাকা দরকার, ঘর ছাড়ার মতই - 'Wanderlust'-র মত 'Bonding-lust' - আমার মধ্যে তার বড় অভাব। তাই ঘরে থাকাই হয় না। 'OK,বনলতা সেন, এখন আমি যাই'। আমার ঘরের মাদমোয়াসেল সেনগুপ্ত-টা এখন কি করছে কা জানে? হয়তো ছেলে পড়াচ্ছে; নয়ত Facebook-এ স্কুলের বন্ধুদের ছোটবেলার photo দেখছে, অথবা যা ইচ্ছে তাই করছে।

ভয়ানক রাগ হচ্ছে; শালা গানগুলো কেন পছন্দমত sequence-এ আসছে না! দেখি, নির্মাল্য আর কি বলে!

কোলা

1 comments:

chhotkan said...
এটাই বোধহয়,সেই Age group যেখানে আমরা সবাই মাঝে মাঝেই 20বছর আগে ফিরে যেতে মন হয়।

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ১৮ (২৬শে জানুয়ারী, ২০১১)

হিজিবিজি ২৬।০১।২০১১






Enclosed please find herewith…বা Please refer to letter dated আমার লেখা মানেত এইরকম
এতদিনে মুফতে একটা জায়গা পাওয়া গেছেআমি হিজিবিজি কাটবো,হাবিজাবি লিখবো,যাচ্ছেতাই বলবো পাঁচ-সাতজন পাঠকত পেয়েই যাবো
আমারঠাকুমা গত হয়েছিলেন, তখন আমার পাঁচ বছর বয়েস হবেপাঁচভাই দুইবোনের,আমিই সবার ছোটতবে আমার বেশ মনে পড়ে, খুব ছোটখাঠো চেহারা ছিল ঠাকুমার কোমর থেকে সামনের দিকে অনেকটা ঝুকে চলাফেরা করতো,তাই আরো ছোটখাঠো লাগতোবিধবা, স্বপাকাহারী মানুষসর্বক্ষণ এই ছুঁয়ো না’,ওই ছোঁয়া লেগেগেল গেল ভাব তবে দুপুরবেলায় ঘুম থেকে উঠে ঠাকুমারপাতের ভাত’(মানে ঠাকুমার lunchএর বাকি ভাত তরকারি-এখন বুঝি, ইচ্ছা করেই বেশী বানাতো) আর রাতে গরম দুধে-ভেজানো জনতা ষ্টোভে করা রুটি আহা! সেই অমৃতের স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে আমরা তীর্থের কাকের মত বসে থাকতামতবে,ঠাকুমার লাইনের কোনোদিন গণ্ডগোল না কার, কোন বার লাইন আসবেআইজ বিষ্ষুদবার,ছুটকইন খাইব
আমার বাবারা চারভাই,ঠাকুমা তাঁর চার ছেলের কাছেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে থাকতেন বৃদ্ধ বয়েস, ওষুধপত্র লেগেই থাকত বাবা ডাক্তার ছিলেন,সেজন্য ঠাকুমা আমাদের বাড়িতে বেশী থাকতেন ঠাকুমা মানে সাদা কালো সরু পাড়ে ধুতি,হাটুর কিছুটা নীচ থেকে ন্যাড়াসম মাথা পর্যন্ত আলগাভাবে জড়ানো চৌকো একটা কোরা কাপড়ের কর্ণের দিকের কোণার খুঁটগুলো বেধেঁ একটা পুটুলি, তারমধ্যে রুদ্রাক্ষের মালা ,ডানহাতে বুকের কাছে ধরে, জপে যাচ্ছে,দিবারাত্র বা অহর্নিশ অবিরত জপও চলছে,’হরে রাম,হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে সঙ্গে চলছে বকাঝকা, খ্যাচ্ খ্যাচ বেশীরভাগ সময়ই ছোঁয়াছুঁয়ি নিয়ে,মাঝেমধ্যে আমাদের পড়া নিয়ে এই খ্যাঁচ খ্যাঁচ এর মধ্যে যত না বিরক্তি ছিল, অনেক বেশী ছিল প্রশ্রয়-এখন বুঝি
অনেকদিন পর আমার ঠাকুমার কথা মনে এল, দূরথেকে দেখি এক ঠাকুরমা-সমা আসছেনঠিক ওইভাবে সামনে বেশ খানিকটা ঝুকে,ডান হাতটা ঠিক সেইভাবেই বুকের সামনে ধরা পুঁটুলি ঠাওর পেলাম যখন দেখলাম,পুঁটুলির রঙ কালোএই ঠাকুরমা- শাড়িটা অনেক বেশী ধবধবে সাদা উনি আমার দিকে আসছেন,আমিও উনার দিকে যত কাছাকাছি আসছি, আরও দ্রুতপরিবর্তনদেখছি আরও খানিকটা কাছে হয়ে নজরে এলো, ঠাকুরমার পরণে মেখেলা-চাদর,মুখেও যেন কি জপ করছে ঠিক যখন আমি ঠাকুরমা cross করছি আর উনি আমাকে এক বিশাল পরিবর্তনের ঢেউ আমার ওপর আছড়ে পড়লো ঠাকুরমার ওই নকশিকাটা কালো পুঁটুলি থেকে ভেসে এলো, জগজিৎ সিং গলায়,”হে রাম,হে রাম


2 comments:

chhotkan said...
CRISIS 28.01.11 আমার ওপরের দাদা কান্তিদা। তোরা চিনিস। ওর হঠাৎ Heart Attack হয়েছে। Angiogram হয়েছে। Immediately Angioplasty Surgery করতে হবে।
sujoy said...
.চিনতা করিস না,angiogram যখন হয়েছে সব ঠিক হয়ে যাাবে