Saturday, 19 November 2011

কোলার ই-মেল থেকে তুলে আনা (১৯শে নভেম্বর, ২০১১)

ভুতের কবিতার খাতায় লেখা ছিল ...


আজও ভর দুপুরে আমি জংগলে যাই, নদীর ধারে শুয়ে
হাল্কা ডানায় ভেসে যাওয়া মেঘকে উদাস চোখে দেখি,
এরা কেউ নয়;
তোমার শরীরে শ্রাবণের প্লাবন আনত যে মেঘ,
তাকে আমি আমার সাদা চুলের আকাশে বন্দী করে রেখেছি।
কথা ছিল তুমি এলে অভ্রকুচির মালা গেঁথে
তোমার গলায় পরিয়ে দেব।
জলভরা মেঘ আজও নিশ্চিন্তে ঘুমায় --
তুমি কখনও আসবে না সে জানে।
তুমি লুট হয়ে গেছ আজ পঁচিশ বছর!
হঠাত্ কালবৈশাখীর ঝড়ে
এক ফোঁটা বৃষ্টি তবু কি অসীম বাসনায় বাতাসে ভাসে
অতল সাগরে এক ঝিনুকের উন্মুক্ত গহ্বরে ঝরে প'ড়ে মুক্তো হবে ব'লে।

আজও শরতের শিশির ঝরে শিউলির ওপর,
পদ্মপাতা থেকে ধানের শিষ, ভোরের আলোয় সব ভিজে লাগে,
সেই শেষ শিশিরে অগুন লেগেছিল যখন--
আমার সামনে নগ্ন পায়ে তুমি ঘাসের ওপর চকিতে চলেছিলে,
খসে যাওয়া শাড়ীর আঁচলখানি তুলে,
আজ রূপালী রোদের তেজ-ও শিশিরের বুকে ম্রিয়মান,
কেবল চরাচর জুড়ে লক্ষ কাঁচের ভাংগা টুকরো,
আমার পঁচিশ বছর আগের ভাংগা মনের গুঁড়ো আয়না,
প্রতি শরতের শিশির হয়ে ঝরে কেন, কে জানে?

স্বপ্ন ছিল --- তোমার চোখের তারায় আলো হয়ে জ্বলব,
তোমার মনের আকাশে নগ্ন বিহংগের নির্লাজ ডানা মেলে,
তোমার নির্দাগ সিঁথির নিষ্কলংক চাঁদ কেবল আমি-ই শুধু ছোঁব,
ষড়রিপুর এস্রাজে রাগ ছিল শুধু তুমি,
রিপুতে রিপুতে যৌবনগীতের সুরসংগীত তুমি,
নীলনির্জনে নিবিড় আলিংগনে তোমায় চুরমার করে দেওয়ার দুরভিসন্ধি ।

প্রতি মুহূর্তে হেরে গেছে তোমার মায়াবী চোখের এক পলকের চাহনিতে,
নির্বাক মুখে তোমার শান্ত দৃষ্টির কষাঘাত ... ওটাই সান্তনা,

বাকী ভালবাসার ইতিহাস ... আজ শুধুই যন্ত্রণা।

2 comments:

  1. Kola-r eto biraho-r utso kothhayy keu ki janis?Bou ke chhere kota din aachhe boley e'rakam lekha berochchhe? Du' bachhar tana thakle (bou-ke chhara!) to o Sunil,Shakti ke chhariye jabe re? Naki eta sei purono (amader alpo jana!) byatha!Kola-i ektu aalokpat kar boss!

    ReplyDelete
  2. অমিতের 'ব্যাথা'ত সেই 'টেলিফোন'(যতদূর মনেপড়ে, এটাতে'ত টেলিফোনেরই ব্যাথা তীব্র ছিল।)
    আর এক ধবলেশ্বরী-র(hint শুভময়)কাহিনী খুব মনে পড়ছে...এছাড়া কিছু থেকে গেলে,অমিত নিশ্চয়ই সুজয়ের requestএ আলোকপাত করবে।

    ReplyDelete

Note: only a member of this blog may post a comment.