কোলাকথন, dateline 30th Dec,2010, আফ্রিকার উপকূলে কোথাও
Hello Paranbandhus
Wish you all a very very happy new year!
তোমরা যে যার হলিডে মুডে এসে গেছ। সুজয়, নির্মাল্য, দুজনেরই বোন আসছে, শুরুটা মিলেমিশে ভালো কাটুক। গৌতমের বড়দিকে আমার এখনও মনে পড়ে, তার অসময়ে চলে যাওয়াটাও। জীবনের এরকম বেহিসেবি নিয়মের কারণ জানা নেই।শান্তনু আর সুজয়কে মেল পাঠাবার জন্য ধন্যবাদ। নির্মাল্য, বছরের তারিখগুলো পাঠালি না; ঋর পাঠাবি না ধরে নিয়েই তবুও বলি ধন্যবাদ, এখনও অবধি যা পাঠিয়েছিস তার জন্য। সন্জীব PPF-র কথাটা তুললি কি আর? মানস আর অমরজ্যোতি কি করছিস এঐ শীতে? এবার ক্ষমা চেয়ে নিই নিচের অসম্ভব বড় মেলটার জন্য (নোট: দু-তিনটে পোষ্টে ভেংগে blog করব - নির্মাল্য)। READ AT YOUR LEISURE.
29-Dec-2010
উফ্! দিন কাটছে বটে আমার।
স্বর্ণালী বেলাতাতে সবুজ অরণ্য আর শান্ত নীল সমুদ্রের ঘেরাটোপে কখনও কি অপূর্ব ছবি! মুগ্দ দৃষ্টিতে চেযে থাকতে মন চায। রাত পোহালেই তারারা চোখ বোজে। ঘুমের পরীরা ডানা মেলে উড়ে যায় কোন সুদূরে। ফুলের মত সকাল আবার ঘরে ফেরে মাতাল বাতাসের হাত ধরে। শান্ত সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউ, সুর্য্যটার মুখে হাত দেবে বলে দুহাত তুলে বায়না ধরে। তাদের গালে চুমু খেয়ে সকাল পাড়ি দেয় বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি-র দিকে। Binocular-এ চোখ রাখলে দেখা যায় নির্জন বেলাতাত নগ্ন দেহে অর্ধশায়িত কলেবরে পরনের আলুথালু বস্ত্রটুকু খুলে হেলায় লুটিয়ে দিয়েছে সাগরজলে। সাগর তবু দার্শনিক; চন্চলা স্ত্রীর পরপুরুষের প্রতি অসংগত যৌবনলাস্যকে ঋষিতুল্য পতির সম্ভ্রান্ত শিষ্টাচারের উপেক্ষা করার উদারতা নিয়ে - নিজের খেয়ালেই মগ্ন।আলতো হাতের ছোয়ায় এখন শুধু নিবৃত্ত করার চেষ্টা। এ ভাবেই চলবে। আর রাতের অন্ধকারে ঋবার সবার অগোবে জোয়ার। তখন অন্য রূপ! তুমুল আস্ফালন আর নিবিড় আলিংগনে ওই অভব্যতার শোধ তুলবে - ভালবাসবে - অদম্য বাসনায় অত্যাচারে ফালাফালা করে। এঐ খেলাটা আমি জানি।অনেকে বলে আমি স্বাভাবিক নই। কিন্তু আমি এগুলো চাক্ষুয দেখতে পাই।
বয়:সন্ধির ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা আন্মনা শিশুর মত গুটি কয়েক নৌকা হেলেদুলে সাগরলে ভেসে চলে যায়। যুবতী প্রকৃতির আহ্বান তাদের নিষ্পাপ মনে ধরা দেয় না। আমায় কিন্তু হাতছানি দিয়ে ডাকে। কি অপার্থিব এক প্রেমের কবিতা লুকিয়ে আছে এই দৃশ্যতে। যেমন থকে অজানা রাস্তায অচেনা অন্ধকারের ঘেরাটোপে হঠাত্ দেখতে পাওয়া একটা লন্ঠনের আলোয়।মনের অন্ধকারে কত হাজার মশাল জ্বালিয়ে যাওয়া ওই একটা টিমটিমে মেঠো আলো। আমি শুধু ওই কবিতা পড়ে যাই কিন্তু সেইভাবে আবৃত্তি করতে পারি না।
কথা উঠেছিল রাতের অন্ধকারের। রাত আসে এক অদ্ভুত রোমান্চ নিয়ে।আকাশের দেউলে চাঁদতারার প্রদীপ একটা একটা করে জ্বালিয়ে, বাতাসের কন্ঠে গান গাইতে গাই, সমুদ্রের জল ভেংগে ছলাত্ ছলাত্ করে। কিন্তু এই রোমান্চ বেশীক্ষন স্থায়ী হয় না। চরাচর জুড়ে এক আতংকের ঘোর, কোন সে অজানা অশনি স:কেত যেন। আফ্রিকার উষ্ন রাতের থমথমে আকাশে বইতে থাকে এক অজানা আতংকের হিমেল স্রোত। সেই আফ্রিকা - যার শ্বাপদসংকুল গহন অরণ্যে 'সিম্বা'র ভয়ে যে ভাবে দিনরাত কাটত মাসাকুলির দল! আমার রাত ও কাটে সেই ভাবেই। কখন কি বাওবাব গাছের গন ঘেরাটোপের আড়াল থেকে বিদ্যুতের মতন অতর্কিত আক্রমণে অনায়াসে শিকার তুলে নিয়ে যাবে যমদূত সিম্বা! অথবা আরো ভয়ানক সেই চাঁদের পাহাড়ের বুনিপ! অন্ধকার আফ্রিকার আদিম হিংসা কোন অজানা রিপুর মত জংগক পেরিয়ে কবে থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, কারো জানা নেই।
(প্রথম পর্ব সমাপ্ত: নির্মাল্য)
Wish you all a very very happy new year!
তোমরা যে যার হলিডে মুডে এসে গেছ। সুজয়, নির্মাল্য, দুজনেরই বোন আসছে, শুরুটা মিলেমিশে ভালো কাটুক। গৌতমের বড়দিকে আমার এখনও মনে পড়ে, তার অসময়ে চলে যাওয়াটাও। জীবনের এরকম বেহিসেবি নিয়মের কারণ জানা নেই।শান্তনু আর সুজয়কে মেল পাঠাবার জন্য ধন্যবাদ। নির্মাল্য, বছরের তারিখগুলো পাঠালি না; ঋর পাঠাবি না ধরে নিয়েই তবুও বলি ধন্যবাদ, এখনও অবধি যা পাঠিয়েছিস তার জন্য। সন্জীব PPF-র কথাটা তুললি কি আর? মানস আর অমরজ্যোতি কি করছিস এঐ শীতে? এবার ক্ষমা চেয়ে নিই নিচের অসম্ভব বড় মেলটার জন্য (নোট: দু-তিনটে পোষ্টে ভেংগে blog করব - নির্মাল্য)। READ AT YOUR LEISURE.
29-Dec-2010
উফ্! দিন কাটছে বটে আমার।
স্বর্ণালী বেলাতাতে সবুজ অরণ্য আর শান্ত নীল সমুদ্রের ঘেরাটোপে কখনও কি অপূর্ব ছবি! মুগ্দ দৃষ্টিতে চেযে থাকতে মন চায। রাত পোহালেই তারারা চোখ বোজে। ঘুমের পরীরা ডানা মেলে উড়ে যায় কোন সুদূরে। ফুলের মত সকাল আবার ঘরে ফেরে মাতাল বাতাসের হাত ধরে। শান্ত সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউ, সুর্য্যটার মুখে হাত দেবে বলে দুহাত তুলে বায়না ধরে। তাদের গালে চুমু খেয়ে সকাল পাড়ি দেয় বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি-র দিকে। Binocular-এ চোখ রাখলে দেখা যায় নির্জন বেলাতাত নগ্ন দেহে অর্ধশায়িত কলেবরে পরনের আলুথালু বস্ত্রটুকু খুলে হেলায় লুটিয়ে দিয়েছে সাগরজলে। সাগর তবু দার্শনিক; চন্চলা স্ত্রীর পরপুরুষের প্রতি অসংগত যৌবনলাস্যকে ঋষিতুল্য পতির সম্ভ্রান্ত শিষ্টাচারের উপেক্ষা করার উদারতা নিয়ে - নিজের খেয়ালেই মগ্ন।আলতো হাতের ছোয়ায় এখন শুধু নিবৃত্ত করার চেষ্টা। এ ভাবেই চলবে। আর রাতের অন্ধকারে ঋবার সবার অগোবে জোয়ার। তখন অন্য রূপ! তুমুল আস্ফালন আর নিবিড় আলিংগনে ওই অভব্যতার শোধ তুলবে - ভালবাসবে - অদম্য বাসনায় অত্যাচারে ফালাফালা করে। এঐ খেলাটা আমি জানি।অনেকে বলে আমি স্বাভাবিক নই। কিন্তু আমি এগুলো চাক্ষুয দেখতে পাই।
বয়:সন্ধির ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা আন্মনা শিশুর মত গুটি কয়েক নৌকা হেলেদুলে সাগরলে ভেসে চলে যায়। যুবতী প্রকৃতির আহ্বান তাদের নিষ্পাপ মনে ধরা দেয় না। আমায় কিন্তু হাতছানি দিয়ে ডাকে। কি অপার্থিব এক প্রেমের কবিতা লুকিয়ে আছে এই দৃশ্যতে। যেমন থকে অজানা রাস্তায অচেনা অন্ধকারের ঘেরাটোপে হঠাত্ দেখতে পাওয়া একটা লন্ঠনের আলোয়।মনের অন্ধকারে কত হাজার মশাল জ্বালিয়ে যাওয়া ওই একটা টিমটিমে মেঠো আলো। আমি শুধু ওই কবিতা পড়ে যাই কিন্তু সেইভাবে আবৃত্তি করতে পারি না।
কথা উঠেছিল রাতের অন্ধকারের। রাত আসে এক অদ্ভুত রোমান্চ নিয়ে।আকাশের দেউলে চাঁদতারার প্রদীপ একটা একটা করে জ্বালিয়ে, বাতাসের কন্ঠে গান গাইতে গাই, সমুদ্রের জল ভেংগে ছলাত্ ছলাত্ করে। কিন্তু এই রোমান্চ বেশীক্ষন স্থায়ী হয় না। চরাচর জুড়ে এক আতংকের ঘোর, কোন সে অজানা অশনি স:কেত যেন। আফ্রিকার উষ্ন রাতের থমথমে আকাশে বইতে থাকে এক অজানা আতংকের হিমেল স্রোত। সেই আফ্রিকা - যার শ্বাপদসংকুল গহন অরণ্যে 'সিম্বা'র ভয়ে যে ভাবে দিনরাত কাটত মাসাকুলির দল! আমার রাত ও কাটে সেই ভাবেই। কখন কি বাওবাব গাছের গন ঘেরাটোপের আড়াল থেকে বিদ্যুতের মতন অতর্কিত আক্রমণে অনায়াসে শিকার তুলে নিয়ে যাবে যমদূত সিম্বা! অথবা আরো ভয়ানক সেই চাঁদের পাহাড়ের বুনিপ! অন্ধকার আফ্রিকার আদিম হিংসা কোন অজানা রিপুর মত জংগক পেরিয়ে কবে থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, কারো জানা নেই।
(প্রথম পর্ব সমাপ্ত: নির্মাল্য)
No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.