Monday, 30 May 2011

Tora sabai lekha-lekhi korchhis r ami parchhi na....nijeke kemon left out lagchhilo...abosheshe Thak-er Bill'er(Gates!) sharonaponno holam....sange sange upayy-o beriye gelo....toder sange aabar ek sathe cholte parbo...(jodiyo goutam-ta idaning lekhar byapare mon diye dourote shuru korechhe!). Kal S.N Roy road-e gechhilam ekta kaj-e,mone hochchhilo Thek-ta te giye ektu pichhon-ta thekiye aasi,20 bachhar aagekar onubhuti-ta ekbar jhaliye neoya r ki...holo na,lajja korlo....chhele ke ese feeling-ta ektu share karar cheshta korlam....'Ja hariye jayy,ta aagle bosey roibo koto r...'
parlam bole mone hochchhe jeno.....

Thursday, 26 May 2011

হিজিবিজি

সবাই একসাথেই দৌড় শুরু করেছিলাম…

হঠাৎ এ কথাটা মনে হওয়ার কারণ ! হাতড়ে বেড়াচ্ছি। ও! মনে পরেছে।

আমার এখনকার Flat-owner,ভাল লোক।দিল্লীতে থাকেন।গত তিনবছরে কোনোরকম বিরক্ত করেননি। দেওয়ালে কোথায় পেরেক পুঁতেছি কি না, খুঁজে দেখেননি। ভাড়া ঠিক সময় জমা অবশ্য পড়ে যেত।যদিবা এক দুবার আমার ভুলো মনের জন্যই দেরী হয়েছে। কখনও ফোনে reminder দেন নি।সেদিন flat-owner দিল্লী থেকে সরাসরি আমার কাছে এসে হাজির।মুখে দারুণ প্রসন্নতা।কিছুসময়ের মধ্যেই জানতে পারলাম এই খুশী খুশীভাবের কারণটা।ওনার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।পাত্র গৌহাটীর,তবে চাকরীসুত্রে বাইরে থাকেন।কথায় কথায় যা বোঝা গেল,ওরা অদূর ভবিষ্যতে তো নয়ই,কোনোকালে গৌহাটীতে বসবাস করবে কিনা সন্দেহ আছে। তবে flat-ownerএর ইচ্ছে, তাই উনি মেয়ের বিয়েটা গৌহাটীর নিজগৃহ থেকে দেওয়ার ইচ্ছা (যদিও দিল্লী ও অন্যত্র নিজের Flat আছে)। সুতরাং আমাকে flat খালি করে দিতে হবে।

এরমধ্যে,মাঝেমাঝেই বন্ধুদের sms আসে। বেশীভাগই হালকা,চটুল চুটকি বা তোতাপাখির মতো আওড়ানোর জন্য Management training এর কিছু বুলি বা quotation।আর সবকিছুতেই আমার কাজ হ’ল reply option-e গিয়ে কয়েকটা চটুল চুটকি পাঠিয়ে দেওয়া।বন্ধুবান্ধবীদের আশীর্বাদে চটুলচুটকির ভাড়ার(inbox)আমার বড়ই স্ফীত। মাঝেমাঝে আরো কিছু sms আসে,যেমন , সুময় পাঠালো,’কাল মানবের সোনারপুরের নতুন flat দেখে এলাম। centrally Air-conditioned। খুব সুন্দর interior decoration। মানবের’ত ভবানীপুরে নিজের flatছিল, আমি ভাবি। বা অতনু লিখলো,’একটা ভালোখবর আছে,আমার মেয়েটা Bombay IITতে M.Techএ পেয়ে গেছে’। কখনওবা সুময় লিখলো,’জিনিষপত্রের ভীষণ দাম বেড়েছে,রাজারহাটে নতুন flatটার Budget অনেক exceed করে গেছে’। আমি ভাবি ত্রিশবছর বয়েসে সুময়’ত নিজে দাড়িয়ে বাড়ি বানিয়েছিল, আবার flat কিনতে গেল কেন! শুনলাম,’ভাই রে ভাই,মেয়েটার জন্য একটা করে রাখলাম।যা দিনকাল আসছে’। আবার কখনও প্রবাল লিখলো,”দাদাভাই এসেছিল,এই মালয়েশিয়া,সিঙ্গাপুরে,তাই দিনতিনেকর জন্য গিয়ে একবার দেখা করে এলাম”। বা অনেকদিন কোনো sms না পেয়ে প্রবালকে লিখলাম,”কিরে চুপচাপ কেন?” reply এল,”নাহ্ রে,একটু ব্যস্ত ছিলাম।হঠাৎ একটা কাজ পেয়ে গেলাম,১২দিনের জন্য ইজ্রায়েল যেতে হয়েছিল। জেরুজালেম টা দেখে এলাম ,বুঝলি”।এইভাবে আর কিছু মনে হত কিনা জানিনা,তবে বেশ সবার সাথে আমিও বেশ frequency মিলিয়ে চলতে পারছি বোধ হত।

আবার কখনও মানবের sms এরকম। “অনেক কষ্টে visaটা আজ হাতে পেলাম।20th থেকে 30th যাচ্ছি Europe। Just vacation-এ”।

প্রমিত মাঝে মাঝে sms বা email করে, কখনওবা সোমালিয়া কখনও বা মার্সেই থেকে। আবার প্রশান্তমহাসাগরে সুনামীতে যখন জাপান বিধ্বস্ত,প্রমিত তখন প্রশান্তমহাসাগরের অন্য কোনো কোণায় ভাসতে ভাসতে,ওর চোখে দেখা চারধারের অপরূপ প্রকৃতির ছবি আঁকছে- ভাষা দিয়ে। তা’ emailএ পাঠিয়ে দিচ্ছে।

রাজীবটা আজকাল বড় চুপচাপ।তবুও শুনলাম,কাজের জায়গায় কি একটা করে,ভীষণ বাহ্ বা কুড়িয়েছে।দেশের পুরস্কার তো পেয়েইছে।আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

দেবজ্যোতি বিশেষ যোগাযোগ রাখে না। তবে New year; বিজয়াদশমী এসবে শুভেচ্ছা পাঠাতে কখনওই ভূলে যায় না। সেদিন হঠাৎ ফোনে বলল,”শোন,তোদের চৌরাস্তায় Marlin Gardens-এ আমার একটা Flat আছে(ও বাবা ওখানে Sourav-বাংলার গৌরব Gangulyর flat আছে শুনেছি)।তালা বন্ধ পরে আছে,’দেখিস’ত একটা ভাল ভাড়াটে পাওয়া যায় কি না’, বা ‘ওখানে এখন কি Rate চলছে। ভাল দাম পেয়ে গেলে বেচে দেবো।সবকিছুতেই আমার প্রাপ্তিস্বীকার একটা হালকা অপ্রাসঙ্গিক চটুল চুটকির sms পাঠিয়ে।

পান-সিগারেট দোকানের সামনে দাড়িয়ে রাজামাপ-এর সিগারেটে টান দিচ্ছি।এক ঝটকায় মাথায় সবচিন্তা মাথায় বয়ে যাচ্ছে।আমার’ত বন্ধুদের তুলনায় ছোট-বড়,কম-বেশী,সফল অসফল কোনোদিন মাথায় আসেনি।একজনকে বড় দেখাতে,অন্যকে ছোট করা বা কাউকে ছোট করতে গিয়ে অন্যকে বড় দেখানো,এ তো বেশীভাগ মানুষের প্রকৃতি। আর এখন News channel/Newspaper গুলো’ত এই বিক্রী করেই মুনাফা কামাচ্ছে। আজ মাথায় এসব চিন্তা আসছে। Just একটা কথায়,”flatটা ছেড়ে দিতে হবে”।

আমার এতোদিনের ধারণা ছিল,আমরা সবএকসাথেই দৌড় শুরু করেছিলাম। আর আমি slowly and steadily পিছিয়ে পড়েছি।অনেক ভেবে দেখলাম,আমার এই ধারণা শুধু ভুল যে তাই-ই নয়। এইধারণা আমার সহপাঠী, সহযোগী, বন্ধুদের কিছুটা অসম্মান,অকৃতজ্ঞতা দেখানো হয়ে যায়। বাস্তবে ওরা আমার সাথে দৌড় শুরু করেনি। ওরা আমার জন্য দাড়িয়ে অপেক্ষা করেছিল।আমাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।আমি ভুলেই গেছিলাম,আমার প্রকৃত ক্ষমতা। ভাবতে শুরু করেছিলাম, আমি ও ওদের সমকক্ষ।

আজ flat ছাড়ার notice পাওয়ার পরেই,একটা ভাড়াবাড়ী খুঁজতে বেড়িয়ে দেখছি, কিছুতেই একটা পছন্দসই বাড়ী পাচ্ছি না।যদিবা পাই, আর একচিন্তা মাথায় ঘুরছে।দু-এক বছরপরে আবার এই বাড়িওয়ালা যদি বাড়ি ছাড়ার notice দেয়!...উপলব্ধি করলাম। আমি অনেক পিছিয়ে পরেছি। অনেক যোজন পিছনে।গতি বাড়ানোর ক্ষমতা নেই।ভীষণ হাঁফ উঠছে।দমবন্ধ করে দিচ্ছে।সিগারেটে আরো ঘনঘন টান দিচ্ছি। হঠাৎ এক বেশ পুরুষালী আওয়াজ কানে এল।“জেব মে রূপাইয়া হ্যায়,নিকল্ কে লিজীয়ে।অউর এক ঠাণ্ডা Frooti দিজীয়ে তো”। কথাটা শুনে না তাকিয়ে থাকতে পারলাম না।দেখি! একটা ভিখারী,হ্যাঁ একদম পুরোদস্তুর ভিখিরী, ওর কণুইয়ের পরে হাত দুটো নেই। সে Frooti চাইছে,দাম পনেরো টাকা।এই প্যাঁচপ্যাঁচে গরমে এটাই তার বিলাসিতা।

******

সেদিন ডাঃ বিনায়ক সেন-এর interview শুনছিলাম। ছত্তিশগড়;ঝাড়খণ্ড;ওড়িশা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তপশিলী জাতির 50% আর উপজাতির 40% এরই Body-Mass Index 18.5 এর কম। UN Scale এ এইসব এলাকা Famine affected declare করা উচিত। এইসব লোকের নিজস্ব Natural Possession বলতে জল;হাওয়া আর কিছু জমি।সেগুলোও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। This is also a type of violence- the Structural Violence…

সর্বশক্তিমান আমায় দুটো সবল হাত,পা ও চোখ দিয়েছে,মাথা দিয়েছে।সর্বোপরি প্রায় নীরোগ একটা দেহ দিয়েছে। আর কি চাই? এ সব শুনে সুময় হয়তবা বলবে,”ব্যাপারটাকে বড় simplify করে দিচ্ছিস।“

আসলে আমি go-getter type নই। নিজের দাবী,চাহিদা,প্রয়োজনীয়তাকে ঠিক ঠিকভাবে চিনতে শিখিনি। যদিবা শিখেছি, সেই চাহিদাগুলোকে সম্মান করতে শিখিনি। পেতেই হবে,achieve করতেই হবে-ভাবটা কোনোদিনও এলো না, আর আসবেও না…

Tuesday, 24 May 2011

প্রথম ভাগ

যা শালা পারলাম কি তোদের ছুঁতে

১২ মাত্রার সবুজের দেশে

প: ইয়োরোপের এই দেশটাকে ব'লা হয় 'Land of 12 shades of green'; বাংলায় দাঁড়ায় '১২ রকম সবুজের দেশ'!দেশটার ভুখন্ডের দিকে আকাশ থেকে তাকালে না কি সত্যিই দেখা যায় মনভরানো সবুজের সমারোহ, ১২ রকম ঘনত্বের রকমফেরে হয় চোখের পরিতৃপ্তি।

তা, Ireland-র আকাশ চিরে উড়ে গেছি মাত্র একবারই, আমেরিকার পূর্ব উপকূলে পাড়ি দেওয়ার সময়। কিনতু, Amserterdam-New York-Amsterdam flightটা, দুবারই Ireland-র আকাশ অতিক্রম ক'রে গেল অন্ধকারের মধ্যে। জানালা দিয়ে ঘুমচোখে উঁকি মেরে দেখেছিলাম ঘুমিয়ে থাকা সেই সুন্দর, ছোট্ট দেশটাকে; যেখানে প্রায় পাঁচ বছর কাটিয়েছি, গত শতাব্দীর শেয বছর থেকে শুরু ক'রে।না, ১২ রকম সবুজের সমারোহ দেখা হয় নি কখনও। কিন্তু দেশটা যে সবুজে আগাপাশ্তলা জড়ানো, সেটা বসবাসকালে সম্যক দেখেছি ও বুঝেছি। বছরে প্রায় ৯ মাসই বৃষ্টি হয়, সাথে জোর হাওয়া আর উঁকি মারতে আলসেপনা করা সূর্য্য। চারপাশে সমুদ্র; ফলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে প'ড়ে যে কোন দিক উদ্দেশ্য করে চললে প'রেই সমুদের দেখা পাওয়া যাবে,খুব বেশী হলে ঘন্টা পাঁচেকের মধ্যেই। অমায়িক, হাসিখুশী, কথায়-কথায় রসিকতা করতে সড়গড় আইরিশদের সাথে বন্ধুত্ব করতে কোন বিশেষ চেষ্টা করতে হত না। Bank-র Manager থেকে পাড়ার pub-র পরিচারিকা, অফিসের বস্ থেকে মাংসের দোকানের দোকানী - সবাই অন্তত: একবার মশকরা করতে পারলে যেন খুশী হয়।আমাদের বাড়িটা ছিল Leopardstown বলে একটা জায়গায়, Wicklow পাহাড়রাজির কোলে। একবারেই আইরিশ অধ্যুষিত এলাকা। আমাদের পড়শি কেভিন আর বার্ণি, আর তাদের দুই ছেলে: স্টিফেন আর রবার্ট; সাহায়্য করতে যেন মুখিয়ে থাকত। অলির সব বন্ধুরা ঢেকে নিয়ে যেত খেলতে: জ্যাক, রবার্ট, ফিওনা, মেরী। আমরা বাড়িতে সবসময় বাংলায় কথা বলতাম ব'লে, ছোট্টবেলায় অলি একদমই ইংরাজী জানত না। কিন্তু, আইরিশ বাচ্চাগুলোর সাথে কথাবার্তা চালাতে কোন অসুবিধা হয়েছে ব'লে শুনিনি। আর গায়ের রং নিয়ে কোন তির্য্যক মন্তব্য? একবারই একটি বাচ্চা ব'লেছিল কিছু একটা, একেবারেই হাল্কাচালে। কি ব'লেছিল আজও জানি না। কিন্তু তার বাবা সংগেসংগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ছেলেকে দিল প্রবল বকুনি আর অলিকে (৩ বছর বয়স) ডেকে বলল 'সরি'। পরে অলি এসে ঘটনাটি ওর ভাষায় বর্ণনা করায় আমরা এই ব্যাপারে অবগত হলাম।

গত রবিবারে, আনন্দবাজারের রবিবাসরীয়তে রংগন চক্রবর্তীর লেখাটা প'ড়ে হঠাত্ সব স্মৃতিগুলো ফিরে এল। সারা সপ্তাহ ওগুলো আমায় ঘিরে থাকবে মনে হচ্ছে।

Wednesday, 18 May 2011

ABIRBHAV

amaader-e-thek e amar pravesh

Bhabechhilam aloron jagiye abirbhab korbo, Parlamna,kshmota nei...

tai pravesh korechi ki na bujhte ei Post...karor jonno noy sudhu amar-e jonno...

Sunday, 15 May 2011

পরিবর্তন বা বদল - যা বলিস......

একটা দু:সংবাদ আছে। সাথে অবশ্য আছে একটা সুসংবাদও।

আমাদের পূর্ববর্তী এবং প্রথম ব্লগ - যা গত কয়েকমাস ধরে আমরা লিখছিলাম এবং খানিকটা অভ্যস্তও হয়ে গিয়েছিলাম - discontinue করতে হয়েছে। ভুলটা আমার; ব্লগ administer করার জন্য বিশেষ password-r দরকার প'ড়ে। আমি তা বানিয়েছিলামও, কিন্তু ভুলে গেছি। অনবধানতায়, তা কোথাও লিখে রাখি নি। কোলার email address-টা জুড়তে গিয়ে বুঝলাম বড় ফ্যাসাদে প'ড়ে গেছি। ওই administrative password ছাড়া কোনরকম maintenance করা অসম্ভব।

তা, blog discontinue করতে হয়েছে ব'লে, ঠেকের ঝাঁপও বন্ধ করতে হবে? পাগল না কি?

তাই নতুন ব্লগ বানিয়েছি, নাম দিযেছি 'আমাদের-ই ঠেক'; একটু রদবদল করে নিয়ে প'ড়লে ওটা দাঁড়াবে 'আমাদের ই-ঠেক' ('e-Thek', in the sense equivalent to 'e' in e-Mail). অর্থাত্ কি না, আমাদের ইলেকট্রনিক ঠেক।  নামটা আশাকরি তোদের পছন্দ হবে। পুরনো সব ব্লগ গুলোকে এই নতুন ব্লগে তুলে এনেছি (almost 95% of them), আর 'ডাইরীর ছেঁড়া পাতা' (ফাদার দ্য তিয়েন, ম'নে প'ড়ে কারো?) নামের একটা archival ধারায় সেগুলোকে সাজিয়ে রেখেছি। যে কেউ গিয়ে খুঁজে প'ড়তে পারে, গত কয়েক মাসে আমাদের 'মনম্যাপ' কেমন ছিল।

তোদের সবার কাছে ব্লগে লেখবার জন্য আমন্ত্রন যাবে। গ্রহন করিস। তারপর ব্লগে লেখার তোড়জোড় শুরু করে দিস্, নতুন উদ্যমে। প: বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনও আনবে কি না, সময় বলবে। কিন্তু য়ে কোন পরিবর্তনের ভেতরেই নতুন সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে, এটা অনস্বীকার্য্য। তা সে লালবাড়ির ঠেকের change-log-ই হোক, আর আমাদের সাধের ঠেকের blog-ই হোক।














Saturday, 14 May 2011

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ২১ (৭ই এপ্রিল, ২০১১)

শুদ্ধবাংলা




বন্ধুবরেষু,
অকস্মাৎ আমার মুক্তি পিছাইয়া গিয়াছে।অতএব কেউ যদি মনে করো বিশ্বকাপ জয় অথবা অন্য যে কোনো কিছু নিয়ে দু’কথা বলবে,তা’হলে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।
কোলা
৬/৪/১১
অকস্মাৎ এইরূপ হইবার কারণ জানাইলে কিঞ্চিৎ নিশ্চিন্ত হইতাম। শঙ্কা হয়,আপনি জলচর-এ রূপান্তরিত হইয়া না যান। কোনোদিন দেখিব আমাদিগের অমিত-এর অগ্রপদযুগল মীন-এর ন্যায় পাখনা(fin)য় রূপান্তরিত হইয়াছে।
গৌতম ভট্টাচার্য্য
৬/৪/১১
সে কিরে! এবার মে মাসে তুই গৌড় পাণ্ডুয়া নিয়ে যাবি ভেবেছিলাম… দেরী কেন? নামবি কবে?
সুজয়
৭/৪/১১
আমার গাঢ়টি মারিয়াছে! এইরূপ শুদ্ধবাংলায় আলাপচারিতায় যথেষ্ঠ শঙ্কিত ও দ্বিধাগ্রস্থ হইয়া পরিয়াছি।মাতৃভাষা যতদিন দুগ্ধ ছিল,নিরুপদ্রবে পান করিয়াছি। অদ্য দেখি উহা ক্ষীরে রূপান্তরিত এবং পৈতিক গণ্ডগোলের অন্যতম কারণ হয়,আমার দূর্বল অন্ত্র তাহা সামলাইতে পারে না।
তাই,আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, জাহাজী সেন এবং কেতাবী ভট্টাচার্য্যি মহাশয়দ্বয় যদি সাদা বাংলায় অর্থাৎ ‘মা-মাটি-মানুষ’এর ভাষায় ফিরিয়া আসেন,অত্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকিব।
নিবেদন ইতি
নির্মাল্য
৭/৪/১১

3 comments:

chhotkan said...
Jah babba! bhablam suddho bangla-y ektu kotha bolbo... r bolchhe ki na, ek Jatra-pala-r nayika-r dhong-e ultopalta bokte...
Nirmalya said...
'মা-মাটি-মানুষ'-টা একটু মজা করার জন্য আর কিছুটা তোদের উষ্কে দেবার জন্য লিখেছিলাম। Post-টা ভাল করেছিস।বাকি বান্চোত্ গুলো কোন comment করল না কেন? শব্দটা 'পৈতিক' হবে না, 'পৈটিক' হবে। একটু Edit করে দিস।
santanu roy said...
বাকি __ দিগের একজন, দুগ্ধজাত ভাষায় আমার আজও অনাবিল আগ্রহ । টিটোবাবুর বিন্যাস বিশেষ সাহিত্য গুনে ব্যাঙ্গরসে শিবরাম বা নারায়ণ স্পর্‌শ করিয়াছে । ইহা দেখিয়া সনির্‌বন্ধ অনুরোধ দুইবেলা LOMOTIL সেবন পূর্বক দু চার ছত্র প্রেরণ করিয়া যান নিয়মিত । ইহাতে দেশ ও দশ বড়ই উপকৃত হইবে ।

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ২১ (২রা এপ্রিল, ২০১১)

সন্জীবের কেরামতি




আমাদের অন্যতম 'ঠেকি', BOC-র উচ্চপদস্থ আধিকারিক, গুড়াপ-নন্দন, 'মুড়িধন' (এই sobriquet-টা কোলার দেওয়া) সন্জীব মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি তাঁর কর্মস্থলে অসামান্য অবদানের জন্য প্রশংসিত ও সম্নানিত হয়েছেন।বলা বাহূল্য, আমরা অন্য ঠেকিরা সন্জীবের এই সাফল্যের খবরে খুব খুশী।

সন্জীবের পাঠানো project synopsis প'ড়ে যা বুঝলাম, তা এইরকম:

দেরাদুনের (উত্তরান্চল) কাছে সেলাকি বলে জায়গায় BOC একটি 'বায়ু পৃথকীকরন' (Air Separation) Plant (capacity: 221 TPD) বানিয়েছে। সরকারী দফতরের গড়িমসির কারনে কাজ শুরু হয় দেরীতে। কাজ চলাকালীনও অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় BOC team-কে। শেষত:, plant-টি commissioned হয় ২০১০ সালের জুন মাসে, নির্ধারিত সময়ের আগেই, budget-r ১৮% কম খরচে।সন্জীব এঐ project-r একজন Team Leader হিসেবে কাজ করেছে। কর্তৃপক্ষ ওর কাজের তারিফ করেছেন এবং সেই সুবাদেই সন্জীব 'Best Project Team Leader' মনৌনীত হয়েছে।



আগামী ১১ই মে,২০১১, সিংগাপুর-এ (বা মালয়েশিয়া বা চীন-ও হতে পারে, এখনও ঠিক হয় নি) 'Best Aian Project' প্রতিযোগিতায় সন্জীবের project সামিল। আমরা আশা রাখি, সন্জীবকে ওখানেও সম্নানিত করা হবে।

1 comments:

chhotkan said...
Bah! Bah! Sanjib ki korechhis re1 GREAT!!! Chaliye ja Guru. Tor Misti paona roilo. Jato dur jabi tato Misti khaoabo. Antarik Suvechchha roilo... Mohua r meye ke o suvechchha for the unconditional Support they have extended to you...

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ২০ (২রা মার্চ, ২০১১)

অমিতের লেখা ১লা মার্চ ২০১১



আরে না না,আমি জানার কৌতুহলবশতঃ: এমনি জানতে চাইলাম। আমার লেখা আবার ছাপবার জায়গায় গেল কোথায়? হয়তো একদিন যাবে,সেদিন তোকেই বলবো।আর না হলে আমরাই আমাদের মনেরপাতায় অনুভূতির যে আঁকিবুকি কেটে গেলাম(এই Blog-র দৌলতে)সেই রঙেই রঙীন থেকে যাবো।সময় হলে একজন একজন করে আকাশে উড়ে যাবো,ছেলে মেয়েদের হাত ফস্কানো গ্যাসবেলুনের মতো।কষ্ট একটু হবে!সুতো ছিঁড়লে কার না কষ্ট হয়।
ওখানে মেঘের দেশে ঠিক আবার দেখা হবে,তাই না বল? সেই দেশে যেখানে শুধু গাছে গাছে রূপোর ডালে সোনার পাতা, মণিমুক্তোর ফুল আর হীরের ফলই দোলে না,যেখানে খোলা প্রাণের গলা জড়িয়ে অতীত থাকে শুয়ে।লাইব্রেরী থেকে বই টেনে বের করার মতো এক-একটা পুরানো দিন টেনে বের করা যায়।যেখানে মাঠে খেলতে নামার আগে পুরনো জার্সি পরিয়ে দেওয়ার মতো পুরনো দস্যিপনা আবার অঙ্গে লেপ্টে দেয়,উন্মুক্তো বাতাস….যেখানে ব্যস্ত সময়ও আলসেমিতে থমকে দাড়ায় মেঘের জলে নাইবে বলে।
ওখানেই ঋত্বিক সত্যজিৎ-এর ছবি চলে,চাঁদ সূর্যের আলোয় সেট তৈরী হয়।ছবি বিশ্বাস আসে,কমল মিত্র আসে।খোলামাঠে মাইকে লোক ডেকে ডেকে সেসব ছবি দেখানো হয়।দেখার চাইতে, দেখতে যাওয়ার উত্তেজনা বড্ড বেশী।উত্তমকুমার অভিনয়ের টানে কুয়াশাকে কাঁদায়…ঝমঝম করে বৃস্টি নামে।ওখানেই কাশ্মীর,ওখানেই শিলং,ওখানেই ডাললেক,ওখানেই গড়েরমাঠ,ওখানেই শঙ্খচিলের সাথে Wind-surfing।ওখানেই বাবলুদের বাড়ির তিনতলা থেকে ওড়ানো লাটখাওয়া ঘুড়ির সাথে Para-gliding।ফুচকাওয়ালা টিং টিং ঘণ্টায় সন্ধ্যা নামে।তারপর ট্রামে চড়ে তারা আসে ঝিকমিক চশমা চোখে পড়ে।পূজোয় নুতন জুতো কিনে বাটার দোকান থেকে বিনিপয়সায় পাওয়া।
ওখানেই স্বাতী,ওখানেই নন্দিনী,ওখানেই মধূমিতা,ঈশিতা,নীতা…আবার তৃষ্ণা অথবা জয়িতা…সকলেই এখন অভ্র-দ্বিতা (মেঘের মেয়ে)।ওদের কারোর স্বপ্নপূরণ হয়েছে,কারো কারোর হয়নি।ওদের পুঁজি(asset)বলতে হাসিখুশি মলাটের ছবি,আদর্শলিপি-র বিদ্যাসাগরের হাসি অথবা বৃত্তিপরীক্ষা-র পুরনো প্রশ্নমালার ভিতর ঠাকুরমার গায়ের গন্ধ।শাড়ীগহনা কি আর শরীর ভেদ করে মনে ঢুকতে পারে?আবার সংসারের গ্লানিও কি এইদেশের বৃষ্টিতে লেগে থাকতে পারে?সব ধুয়ে মুছে যায়।এখানে আমার স্ত্রী নির্দ্বিধায় আমার হাত ছেড়ে ওদের সাথে গিয়ে বসে…কোনো উষ্মা নেই,বিভেদ নেই। আবার নিশ্চিন্তে যেকোনো লোকের হাত ধরে যেকোনো রাস্তায় কানামাছি খেলতে চলে যায়। কোনো গণিতের হিসেব নেই,ভালমন্দ বিচার অবিচার নেই…এখানে সকলেই বন্ধু।শম্ভুদার সিড়িরঘরে হাঁসের ডিম ফুটে,পাখির জায়গায় কোমল সূর্য বেড়িয়ে আসে। Tele-tubbiesএর সূর্য খিলখিলিয়ে হাসে আমার মনে-সব অমূলক দুশ্চিন্তা…আলোর ঝর্ণায় কাঁচ হয়ে খান খান হয়ে যায়।
সেই দেশ বন্ধু…মেঘের দেশ…মনের দেশ…লিপ্সায় উন্মত্ত ডাকাতের দল,আরো কি করবে আমার mai-er(বুঝতে পারিনি)বুক থেকে করুক।কই আমার মন থেকে কবিতা মোছাতে পারবে কি?
আজও আছে গোপন…ফেরারী মন
বেজে গেছে কখন সেই টেলিফোন।
ভাল থাকিস, ইচ্ছে হলে সবাইকে পড়াস,মনের দেশে সবার berth রিজার্ভ করে রেখেছি।
আমার সংযোজন: লেখা Publishকরতে হলে,কি করতে হয়? অমিত আমাকে শুধিয়ে ছিল। Reply দিয়েছিলেম। সঙ্গে জুড়ে ছিলেম। তোর লেখা ছাপাতে চাইছিস কি? তার উত্তরে অমিতের এই লেখা।মনে মনে চাইছিলাম আমার এই সম্পদ কারোর সাথে shareকরবো না। শীতের রোদে পিঠ দিয়ে একলা বসে রসিয়ে রসিয়ে চেটেপুটে খাব।তবে ঠেকের অলিখিতবিধি আর অমিতের শেষ দুটো লাইন অমান্য করতে পারলাম না।

3 comments:

sujoy said...
উফফ...কি লেখা রে,আর সেই সঙ্গে ঝরঝরে অনুবাদ...সপনে দেখা কবিতা...তোরা মনটা ভরিয়ে দিস,ধন্যবাদ....কাল মানস,শানতনু আর আমি মানসের ক্লাবে বসেছিলাম
chhotkan said...
Dush! eta amar anubad noy re.. ki je bolis, Amit-er lekha ami anubad korbo? Amit english haraph-e likhechhe r ami se bangla haraph korechhi matro.
Nirmalya said...
বো*চো*টা এক‌একটা এইরকম লেখা লিখবে আর আত্মগ্লানিতে আমাকে ভরিয়ে দেবে: কেন এইরকম লেখা হাজার চেষ্টা করেও লিখতে পারি না? ভাষা জানা এক জিনিয, আর নিজের কথা এইভাবে তুলে ধরাটা (express) সম্পুর্ণ আলাদা জিনিয! লক্ষ্য করে দেখ: চিন্তাগুলো যেন মনের মাঠে এধার‌‌‌-ওধার, ইতিউতি ছুটে বেড়াচ্ছে, আর কোলা বসে বসে এই অবিরাম ছুটোছুটির ভেতর লুকিয়ে থাকা গল্পটাকে তুলে ধরছে, পাকা commentator-এর মত।

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ১৯ (৩০শে জানুয়ারী, ২০১১)

কোলাকথন: Dateline 27th January,2011, মার্সেই বন্দর, ফ্রান্স

Good day, my friend!

আজনবী (আমার ID: নির্মাল্য), তুমি চুপ কেন?কাজের চাপ? তাই হবে বোধহয়। কাজের চাপ? তাই হবে হয়ত। আমি এখন ফ্রান্সের লাভেরা বন্দরে; নামটা অচেনা লাগল? যদি বলি মার্সেই (Marseilles) তাহলে বোধহয় চেনা লাগবে। অনেক ক্লাসিকে মার্সেই-র নামটা পাওয়া যায়। কাল একটু বেরিয়েছিলাম। দক্ষিন ফ্রাম্স, তাই নীল আকাশ, পরিষ্কার আয়নার মতো সমুদ্র। তাপমান '+'-এ, +৫ ডিগ্রী। এখানে আজ যারা এল, বলল মিউনিখে ভীষন বরফপাত হচ্ছে। সেই মিউনিখ, যেখানে ১৯৭২ অলিমপিক চলাকালীন ইজরায়েলি এথলিটদের ওপওর গুলি চলেছিল। মারা যায় কয়েকজন (১১ জন: নির্মাল্য)।

এখানের রাস্তাঘাট যেমন হয়: ঝকঝকে আর শুনশান-নির্জন। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। USA-র Wall Mart-র মত, ফ্রান্সে 'auchan' ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে।সেখানেই গেলাম, জিনিষপত্র অবশ্য সেই একঘেয়ে; সেই french perfume, 1-terrabite portable Hard disk, GPS set, X-box athoba Play Station, Chocolates, Digital camera, WiFi-USB, iPAD, Android...ইত্যাদি। ধ্বসে যাচ্ছে, ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে, রোজ এখানে কোন না কোন worker sector, token strike করছে, তবু ঠাটে-বাটে, ভোগের অজস্র সামগ্রী সাজিয়ে বসে আছে। শান্ত, অবসরপ্রাপ্ত লোকেদের শহর, মুখচুন পলিতকেশ বৃদ্ধবৃদ্ধা, স্রেফ রসদ কিনছে বেঁচে থাকার জন্য, গোটা সপ্তাহের খাবার-দাবার। Mobile phone sector-এ কিছু ভীড় নেই। কিছু চাইনীজ, ফিলিপিনো আর ভারতীয়দের ভীড় আছে Electronics আর perfume sector-এ।।এশিয়, the sleeping giant is turning on the bed. কিছু চকোলেট কিনলাম, খাব বলে।তারপর Mcdonalds-এ ঢুকলাম।আমি বাইরে 'pure veg'. কি খাব? 12 Euro-র আলুভাজা কিনে সাঁটালাম. উঁহু, ফরাসী দেশে একে ফ্রেন্চ-ফ্রাই নয়,Friture...উমম্... কি যেন একটা বলে! তরকারীতে দেওয়া অর্ধচন্দ্র আলু, ওপরটা 'deep fry', ভেতরটা নরম।আমাদের দেশের Mc-এ পাওয়া যায় বোধহয়। কোনদিন try মারিনি, ইচ্ছেই হয়নি।

আমি ক্রমবর্ধমান Indian economy-র অংগ। তাই সম্মানিত অতিথি। Counter-এর "Esmerelda" মিষ্টি হেসে পাঁচ প্যাকেট mayonnaise আর sauce টেবিলে এসে দিয়ে গেল।ভারী মিষ্টি হাসি, বিশ বছর আগে কেন দেখা হল না? ফ্রান্সের সমুদ্র - আর ওর পাখির মত চোখ দারুন খাপ খাচ্ছিল। হাসিটা য়েন অন্ধকারে ৩-ব্যাটারী eveready টর্চের মত উজ্বল। চোখ ফেরানো যায় না! 'ভাল থেক, সুম্দরী'। নিজের chocolate-র দুটো বড় 'বার' ওকে দিয়ে দিলাম। ফোয়ারার মত হাসি আমায় ভিজিয়ে দিল। এক নি:শ্বাসে French-এ অনেককিছু বলে গেল। গলায় উত্তেজনা আর আন্তরিকতা...তবু কিছুই বুঝলাম না। আমি যে আজ সম্রাট আকবর, আমর সভায় প্রত্যেককে নিজের গলার মালা খুলে পরিয়ে দেওয়ার দিন আমার আজ।কুড়ি বছর আগে ওর মত কাউকে দেখলে কি হত? কিছু না। ঘর বাঁধার একটা উন্মাদনা থাকা দরকার, ঘর ছাড়ার মতই - 'Wanderlust'-র মত 'Bonding-lust' - আমার মধ্যে তার বড় অভাব। তাই ঘরে থাকাই হয় না। 'OK,বনলতা সেন, এখন আমি যাই'। আমার ঘরের মাদমোয়াসেল সেনগুপ্ত-টা এখন কি করছে কা জানে? হয়তো ছেলে পড়াচ্ছে; নয়ত Facebook-এ স্কুলের বন্ধুদের ছোটবেলার photo দেখছে, অথবা যা ইচ্ছে তাই করছে।

ভয়ানক রাগ হচ্ছে; শালা গানগুলো কেন পছন্দমত sequence-এ আসছে না! দেখি, নির্মাল্য আর কি বলে!

কোলা

1 comments:

chhotkan said...
এটাই বোধহয়,সেই Age group যেখানে আমরা সবাই মাঝে মাঝেই 20বছর আগে ফিরে যেতে মন হয়।

ডাইরীর ছেঁড়া পাতা - ১৮ (২৬শে জানুয়ারী, ২০১১)

হিজিবিজি ২৬।০১।২০১১






Enclosed please find herewith…বা Please refer to letter dated আমার লেখা মানেত এইরকম
এতদিনে মুফতে একটা জায়গা পাওয়া গেছেআমি হিজিবিজি কাটবো,হাবিজাবি লিখবো,যাচ্ছেতাই বলবো পাঁচ-সাতজন পাঠকত পেয়েই যাবো
আমারঠাকুমা গত হয়েছিলেন, তখন আমার পাঁচ বছর বয়েস হবেপাঁচভাই দুইবোনের,আমিই সবার ছোটতবে আমার বেশ মনে পড়ে, খুব ছোটখাঠো চেহারা ছিল ঠাকুমার কোমর থেকে সামনের দিকে অনেকটা ঝুকে চলাফেরা করতো,তাই আরো ছোটখাঠো লাগতোবিধবা, স্বপাকাহারী মানুষসর্বক্ষণ এই ছুঁয়ো না’,ওই ছোঁয়া লেগেগেল গেল ভাব তবে দুপুরবেলায় ঘুম থেকে উঠে ঠাকুমারপাতের ভাত’(মানে ঠাকুমার lunchএর বাকি ভাত তরকারি-এখন বুঝি, ইচ্ছা করেই বেশী বানাতো) আর রাতে গরম দুধে-ভেজানো জনতা ষ্টোভে করা রুটি আহা! সেই অমৃতের স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে আমরা তীর্থের কাকের মত বসে থাকতামতবে,ঠাকুমার লাইনের কোনোদিন গণ্ডগোল না কার, কোন বার লাইন আসবেআইজ বিষ্ষুদবার,ছুটকইন খাইব
আমার বাবারা চারভাই,ঠাকুমা তাঁর চার ছেলের কাছেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে থাকতেন বৃদ্ধ বয়েস, ওষুধপত্র লেগেই থাকত বাবা ডাক্তার ছিলেন,সেজন্য ঠাকুমা আমাদের বাড়িতে বেশী থাকতেন ঠাকুমা মানে সাদা কালো সরু পাড়ে ধুতি,হাটুর কিছুটা নীচ থেকে ন্যাড়াসম মাথা পর্যন্ত আলগাভাবে জড়ানো চৌকো একটা কোরা কাপড়ের কর্ণের দিকের কোণার খুঁটগুলো বেধেঁ একটা পুটুলি, তারমধ্যে রুদ্রাক্ষের মালা ,ডানহাতে বুকের কাছে ধরে, জপে যাচ্ছে,দিবারাত্র বা অহর্নিশ অবিরত জপও চলছে,’হরে রাম,হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে সঙ্গে চলছে বকাঝকা, খ্যাচ্ খ্যাচ বেশীরভাগ সময়ই ছোঁয়াছুঁয়ি নিয়ে,মাঝেমধ্যে আমাদের পড়া নিয়ে এই খ্যাঁচ খ্যাঁচ এর মধ্যে যত না বিরক্তি ছিল, অনেক বেশী ছিল প্রশ্রয়-এখন বুঝি
অনেকদিন পর আমার ঠাকুমার কথা মনে এল, দূরথেকে দেখি এক ঠাকুরমা-সমা আসছেনঠিক ওইভাবে সামনে বেশ খানিকটা ঝুকে,ডান হাতটা ঠিক সেইভাবেই বুকের সামনে ধরা পুঁটুলি ঠাওর পেলাম যখন দেখলাম,পুঁটুলির রঙ কালোএই ঠাকুরমা- শাড়িটা অনেক বেশী ধবধবে সাদা উনি আমার দিকে আসছেন,আমিও উনার দিকে যত কাছাকাছি আসছি, আরও দ্রুতপরিবর্তনদেখছি আরও খানিকটা কাছে হয়ে নজরে এলো, ঠাকুরমার পরণে মেখেলা-চাদর,মুখেও যেন কি জপ করছে ঠিক যখন আমি ঠাকুরমা cross করছি আর উনি আমাকে এক বিশাল পরিবর্তনের ঢেউ আমার ওপর আছড়ে পড়লো ঠাকুরমার ওই নকশিকাটা কালো পুঁটুলি থেকে ভেসে এলো, জগজিৎ সিং গলায়,”হে রাম,হে রাম


2 comments:

chhotkan said...
CRISIS 28.01.11 আমার ওপরের দাদা কান্তিদা। তোরা চিনিস। ওর হঠাৎ Heart Attack হয়েছে। Angiogram হয়েছে। Immediately Angioplasty Surgery করতে হবে।
sujoy said...
.চিনতা করিস না,angiogram যখন হয়েছে সব ঠিক হয়ে যাাবে