তখন বৃষ্টি নামলো উঠোনে৷ পেয়ারা গাছের পাতা চুইয়ে জল তোকে ভিজিয়ে যাচ্ছিলো৷ উঠোনে দড়িতে কাপড়ের ক্লিপ খুলতে খুলতে তুই দিশেহারা !
তোর অঙ্গের শাড়ি আলুথালু তোর ভেজা চুলের লেগে থাকা
মুক্তোর দানা তোর শরীর বেয়ে নেমে উঠোনে গড়াগড়ি খাচ্ছে ৷
ছাউনির নীচে দাওয়ায় তোর উনুনে আগুন জ্বলছে তাতে কড়াই চাপানো , সেখানে শিম বেগুন সবুজ কুমড়োর টুকরো, তেলে গরম হচ্ছে , পাশের থালায় কয়েক টুকরো কাটা মাছ৷ ভেতরে তোর বাচ্চা খেলনার সাথে আপন মনে গভীর ঘুমে মগ্ন !
তোর কর্তা বাড়ি নেই কাজে গেছেন বা৷ সামনে পুকুর, থেকে থেকে মাছ ঘাই দেয়, পাশ ঘেঁষে পায়ে চলা রাস্তা গিয়েছে ক্ষেতের পরে মাঠের দিকে৷ লেবু গাছটায় কত ফুল - মাটির গন্ধে মিশে কেমন মাতাল করা সুবাস৷ ঘাস ফড়িংরা আনন্দে লম্ফ ঝম্প করছে , বৃষ্টি নেমেছে যে!
নিমগাছে অসময়ের সবুজ কোকিল, এমেরাল্ড কুকু তোর দিকে তাকিয়ে!
তার চোখের দৃষ্টিতে অস্ফুট বেদনা চরাচরে এক বিষন্ন নীরবতা!
তুই যেন দ্রুত চোখে চেয়ে দেখলি চারিপাশ৷ চারিদিক জনমনিষ্যি হীন৷ তাই তুই তোর উর্ধাঙ্গের বস্ত্র হেলায় মাটিতে লুটালি গা মুছবি বলে৷
আকাশের ছায়ালোকে অপার মেঘের অনন্ত শুন্য দৃষ্টি, কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখলাম তোর কাঞ্চন অঙ্গ-সৌষ্ঠবে যেন অমিত দহনের স্পৃহা!
তোর কায়া কলেবরে নির্ঝর প্রবাহের উত্তাল ঊর্মি, কেউ কোথাও নেই তবু তোর কোমল শান্ত দৃষ্টির নীচে সর্বনাশের স্ফীত উল্লাস , মৃত্তিকার রানী তুই যে তখন মেঘবতী! তোকেই চাই তোকে না পেলে প্রকৃতির প্রলয় অশান্তই থেকে যাবে যে!
আমি তখন কোথায় ছিলাম? আমি আকাশে মেঘের আসরে তৈরী হচ্ছিলাম বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে তোর সারা অঙ্গে ঝরে পড়তে!
অপার লিপ্সায় লেপ্টে যেতে তোর ফুলের মত অঙ্গে!
অবলা কামিনী অভিলাষা রমণী তুই জানতেও পারিসনি কি গভীর প্রণয়ে তোর অনাবৃত শরীর আমি স্পর্শ করতে চেয়েছিলাম৷ তোর সব রহস্য হয়তো সেদিন আমার হাতেই ফাঁস হয়ে যেত অনাবৃত হয়ে রিক্ত হতি তুই ।
কিন্তু ঠিক সেই সময় তোর সন্তানের হঠাৎ তার পিতার কথা মনে হলো! বাবাকে দেখতে না পেয়ে বাবা বলে ডেকে সে ডুকরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো! তার বাবা হয়তো তাকে খেলতে খেলতে ঘুম পাড়িয়ে বহুদূর কোথাও চলে গিয়েছে! বাবাকে মনে পড়েছে ছেলের৷ শুধু মায়ের স্নেহে যে মন শান্ত হয়না৷
তুই উতলা হয়ে উঠলি, কিন্তু তার আগেই তোর অঙ্গে বৃষ্টি ফোঁটা হয়ে ঝরার বদলে আমি যে তার চোখে অশ্রু বিন্দু হয়ে গেলাম৷ বাতাসের ভাষায় তার কানে তার বাবার কথা পৌঁছে দিলাম শান্ত হল সে , তুই রইলি ওপারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে! তবু, আমি তো পুরুষ, প্রকৃত পুরুষই প্রকৃত পিতা!
শোন মেয়ে মুহূর্তের চাঞ্চল্যে তোকে চাওয়ায় আজও কোনো লজ্জা নেই, কিন্তু তোকে সুরক্ষিত রাখাই অাসল প্রেমিকের পরিচয়! জানিস কি তা?
আজ তোর সেই সন্তান কতবড় কি সুন্দর গান গেয়ে পাঠায়, তোর পলিত কেশে কলপের ছোঁয়া তবু ভালবাসা যে আজ ও নবীন ।
তোর অঙ্গের শাড়ি আলুথালু তোর ভেজা চুলের লেগে থাকা
মুক্তোর দানা তোর শরীর বেয়ে নেমে উঠোনে গড়াগড়ি খাচ্ছে ৷
ছাউনির নীচে দাওয়ায় তোর উনুনে আগুন জ্বলছে তাতে কড়াই চাপানো , সেখানে শিম বেগুন সবুজ কুমড়োর টুকরো, তেলে গরম হচ্ছে , পাশের থালায় কয়েক টুকরো কাটা মাছ৷ ভেতরে তোর বাচ্চা খেলনার সাথে আপন মনে গভীর ঘুমে মগ্ন !
তোর কর্তা বাড়ি নেই কাজে গেছেন বা৷ সামনে পুকুর, থেকে থেকে মাছ ঘাই দেয়, পাশ ঘেঁষে পায়ে চলা রাস্তা গিয়েছে ক্ষেতের পরে মাঠের দিকে৷ লেবু গাছটায় কত ফুল - মাটির গন্ধে মিশে কেমন মাতাল করা সুবাস৷ ঘাস ফড়িংরা আনন্দে লম্ফ ঝম্প করছে , বৃষ্টি নেমেছে যে!
নিমগাছে অসময়ের সবুজ কোকিল, এমেরাল্ড কুকু তোর দিকে তাকিয়ে!
তার চোখের দৃষ্টিতে অস্ফুট বেদনা চরাচরে এক বিষন্ন নীরবতা!
তুই যেন দ্রুত চোখে চেয়ে দেখলি চারিপাশ৷ চারিদিক জনমনিষ্যি হীন৷ তাই তুই তোর উর্ধাঙ্গের বস্ত্র হেলায় মাটিতে লুটালি গা মুছবি বলে৷
আকাশের ছায়ালোকে অপার মেঘের অনন্ত শুন্য দৃষ্টি, কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখলাম তোর কাঞ্চন অঙ্গ-সৌষ্ঠবে যেন অমিত দহনের স্পৃহা!
তোর কায়া কলেবরে নির্ঝর প্রবাহের উত্তাল ঊর্মি, কেউ কোথাও নেই তবু তোর কোমল শান্ত দৃষ্টির নীচে সর্বনাশের স্ফীত উল্লাস , মৃত্তিকার রানী তুই যে তখন মেঘবতী! তোকেই চাই তোকে না পেলে প্রকৃতির প্রলয় অশান্তই থেকে যাবে যে!
আমি তখন কোথায় ছিলাম? আমি আকাশে মেঘের আসরে তৈরী হচ্ছিলাম বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে তোর সারা অঙ্গে ঝরে পড়তে!
অপার লিপ্সায় লেপ্টে যেতে তোর ফুলের মত অঙ্গে!
অবলা কামিনী অভিলাষা রমণী তুই জানতেও পারিসনি কি গভীর প্রণয়ে তোর অনাবৃত শরীর আমি স্পর্শ করতে চেয়েছিলাম৷ তোর সব রহস্য হয়তো সেদিন আমার হাতেই ফাঁস হয়ে যেত অনাবৃত হয়ে রিক্ত হতি তুই ।
কিন্তু ঠিক সেই সময় তোর সন্তানের হঠাৎ তার পিতার কথা মনে হলো! বাবাকে দেখতে না পেয়ে বাবা বলে ডেকে সে ডুকরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো! তার বাবা হয়তো তাকে খেলতে খেলতে ঘুম পাড়িয়ে বহুদূর কোথাও চলে গিয়েছে! বাবাকে মনে পড়েছে ছেলের৷ শুধু মায়ের স্নেহে যে মন শান্ত হয়না৷
তুই উতলা হয়ে উঠলি, কিন্তু তার আগেই তোর অঙ্গে বৃষ্টি ফোঁটা হয়ে ঝরার বদলে আমি যে তার চোখে অশ্রু বিন্দু হয়ে গেলাম৷ বাতাসের ভাষায় তার কানে তার বাবার কথা পৌঁছে দিলাম শান্ত হল সে , তুই রইলি ওপারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে! তবু, আমি তো পুরুষ, প্রকৃত পুরুষই প্রকৃত পিতা!
শোন মেয়ে মুহূর্তের চাঞ্চল্যে তোকে চাওয়ায় আজও কোনো লজ্জা নেই, কিন্তু তোকে সুরক্ষিত রাখাই অাসল প্রেমিকের পরিচয়! জানিস কি তা?
আজ তোর সেই সন্তান কতবড় কি সুন্দর গান গেয়ে পাঠায়, তোর পলিত কেশে কলপের ছোঁয়া তবু ভালবাসা যে আজ ও নবীন ।
No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.