আবার দেখা পাগলটার সাথে। বদলায়নি মোটে । হাত চিৎ করেই আছে । খাওয়া জোটেনা যে। আমায় একবার বলেছিল university degree টা ব্ল্যক মার্কেটে বেচা যায় কিনা। মাঝে মাঝে দু চার পয়সা দিই। তাতে কি আর অভাব ঘোচে তার। আজকাল সে ও কবিতা লেখে
দেখলাম এইটে লিখেছে
চেহারা
তোমরা ফেলে দাও যে কপির ডাটা
তা দিয়ে চমৎকার তরকারি করে মা টা -
ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে।
বাবাকে দাওয়া তোমাদের যৎসামান্য বকশিস
তাতেই একটুখানি চোলাইয়ের বিষ
আমি রাতে শুনি বাবার প্রিয় শিষ -
ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে
যে শাড়ি দিয়ে তোমরা রাখ বাসন
সে শাড়ি আমার বোনের অঙ্গে ভীষণ শোভন -
ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে
তোমার ছেলের ফাটা ফুটবলে
আমার ভাই স্বপ্ন দেখে
হবে সে এঁদো গলির পেলে -
ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
আমাদের ভীষণ দরকার প্রতি মিনিট
অনেকটা্ তোমাদের শেষ, আমাদের শুরু
এই তো জীবন গুরু।
গুরু, কি সব মাল নামিয়ে যাচ্ছ, জাহাজে ফিরে যাবার আগে। শুধু এটা ভেবে ভাল লাগে, যে ব্লগটা হঠাত্ বার খেয়ে গিয়ে বানিয়ে ফেলেছিলাম। তাই তোদের মনের মধ্যে জেগে ওঠা এই সুন্দর চিন্তাগুলো ধরা থাকছে, আগামী দিনের জন্য। আমেজভরে, জমিয়ে, রসিয়ে চেটেপুটে খাবার জন্য।
ReplyDeleteঅমিতের আর সকলের লেখাগুলো পড়ে,যখন প্রাণভরে যায়। তখন একজনের জন্য কৃতজ্ঞতার অনুভূতি প্রায় সমান্তরালে বয়ে চলে...আমাদের একটা ব্লগনামের stage উপহার দেওয়ার জন্য।
ReplyDelete