আবার দেখা পাগলটার সাথে। বদলায়নি মোটে । হাত চিৎ করেই আছে । খাওয়া জোটেনা যে। আমায় একবার বলেছিল university degree টা ব্ল্যক মার্কেটে বেচা যায় কিনা। মাঝে মাঝে দু চার পয়সা দিই। তাতে কি আর অভাব ঘোচে তার। আজকাল সে ও কবিতা লেখে
দেখলাম এইটে লিখেছে
চেহারা
তোমরা ফেলে দাও যে কপির ডাটা
তা দিয়ে চমৎকার তরকারি করে মা টা -
ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে।
বাবাকে দাওয়া তোমাদের যৎসামান্য বকশিস
তাতেই একটুখানি চোলাইয়ের বিষ
আমি রাতে শুনি বাবার প্রিয় শিষ -
ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে
যে শাড়ি দিয়ে তোমরা রাখ বাসন
সে শাড়ি আমার বোনের অঙ্গে ভীষণ শোভন -
ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
ভীষণ দরকারি এ জীবনে
তোমার ছেলের ফাটা ফুটবলে
আমার ভাই স্বপ্ন দেখে
হবে সে এঁদো গলির পেলে -
ছুড়ে ফেলা ত্যক্ত জিনিস
আমাদের ভীষণ দরকার প্রতি মিনিট
অনেকটা্ তোমাদের শেষ, আমাদের শুরু
এই তো জীবন গুরু।
পঁচিশ বছরেরও বেশী পুরোন আমাদের 'ঠেক' - যার শুরু বেহালা-র 'অজন্তা' সিনেমা হলের কাছে এক marketplace-র পিছনে দু-ধাপ সিঁড়ির ওপরে - আজ Internet-e। নতুন পরিসরে, নতুন কলেবরে।
Wednesday, 31 August 2011
Thursday, 25 August 2011
আমার ঘরের দেয়াল
বাড়ী নারীর চেয়ে দুর্জ্ঞেয়। আমার এক বন্ধূ "হিজিবিজির" সুতোয় এমনি এক নকশা এঁকে গেছে এই blog-এ। নারী মন কোথায় পড়ে ধরা দেবতা ও জানেন না, আর বাড়ী কখন কোথায় কাকে ধরা দেয়, অথবা কেনই বা দেয়না, এই সভ্যতা তাই জানেনা।
রমাপদ চৌধুরী লিখেছিলেন "বাড়ি বদলে যায়"। তখন উনিও জানতেন না কি ভীষণ ভাবে বদলে যায়।
বাড়ি~ স্বপ্নপুরণের এক অপ্রতিম কাহীনির নাম, কখনও বা আশার আকাশে ভাসা চিলের ডানার মত অধরা স্বপ্নের নাম। বাড়ি থেকে বাসা, বাসা থেকে ভালবাসা থেকে কুটুম্বিতা। খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার ~ হৃদয়ের আকীর্ণ প্রসার। নিজের হোক অথবা ভাড়ার, বাড়িওয়ালার বাড়ি -ও কেন যে স্থান পায় অন্তরের অলিন্দ্যে~ আমরা কেউ জানিনা।
এখন বাড়ির নাম ফ্ল্যট। কোথাও সুপরিসর লিভিং রুম, প্রশস্ত হল নরম সোফাসেট, টার্কিশ কার্পেট ,মেঝেয় ফ্লোরবোর্ড, ডিম্বাকৃতি সেন্টার টেবিল, আধুনিক পেইন্টিং অরফিইয়াস কিংবা ইউরিদিয়াসের মুখ থেকে অবিরাম ঝরে পড়া ফোয়ারা, সাঁতার কাটা প্রজাপতি মাছ, concept ফার্নিচার, বাহারী ল্যম্প-শেড, পিকচার ল্যম্পের নীচে পরিতোষ সেন অথবা রামকিংকর বেইজ ~আজকাল মমতা ব্যনার্জী কিংবা শুভাপ্রসন্ন ও হেভি চলছে। অবশ্য CM মমতার limited Edition পাওয়ার চেয়ে গণেশ পাইন পাওয়া অনেক সহজ। ওভেন ডিশ ওয়াসার এল ই ডি টিভি এ তবে সহজলভ্য এবং অনেকের-ই আছে।
আরেক টা বাড়ি আগে হত। সেটা কারও কৃষ্ণনগর কারও মালদা কারও ঘোলসাপুর হতে পারে অথবা বকুলতলা, সবেদা বাগান, শীলপারা। সে বাড়িগুলোর furniture এ কোন আঁতেল কনসেপ্ট থাকতোনা
~ বাবারা চাকরীতে যেতেন, জ্যঠা কাকারা ও যেতেন , কারও মাও যেত। ফাস্ট স্লো সব খাবার মা ঠাকুমারা-ই বানাতেন। বাড়িতে মাংস আসার দিনক্ষণ দেখে খোলা হাওয়ার সাথে খুশি আসতো। নোট বুকের size-এর আয়নায় বড়দা অথবা ছোটকাকু গোঁফে শান দিত। দিদি পিসিরা খেলার ছলে চুল টেনে কান মুলে অতিষ্ঠ করে দিত~ আবার ওরাই না চাইতেই খোপ কাটা আচার লজেন্স মুখে জোর করে পুরে দিয়ে যেত। জীবন টা কেমন টক ঝাল মিষ্টি মিষ্টি ছিল। নগেন দাসের কারখানায় ন টার ভোঁ, বাবা যাবেন নাকে মুখে গুজে ১২ডি ধরতে। বাড়ি মোটেই ছিমছাম থাকত না। থেকে থেকে তাক অগোছালো হয়ে যেত।
ভদা ভদা কাঁসার বাসন, পিড়ি পেতে খাওয়া, শকরিকাটা বাসন তুলে রাখ পাকের ঘরে, মঙ্গলা দি এসে মাজবে
আজ জীবন অনেক ম্যনেজেবেল। মশা আরশুলা তখন ও ছিল এখন ও আছে । কিন্তু তখন ছিল শুধু ফ্লিট এখন hit থেকে শুরু করে টোট্যাল কিলিং রেঞ্জ। আমাদের এত কার্ড যে তাদের আদি ভৃগু ration Card লজ্জায় সামনে আসেনা। কোকিল ডাকতো, চড়াই আসতো, আবার জলঢোরা ভাম অথবা ফড়িং ও উড়ত। আজ তারা অনেকেই আসেনা। আগে স্রেফ চুনকাম হত দেয়ালে, দাগ পড়তো ফাটল ও ধরত। আজকাল দারুন hifi paint, দেয়াল থাকে ক্যনভাসের মত নিটোল। আজকের পেইন্ট না ফাটিয়ে তবুও ঘরে একটা জিনিস বড্ড বারবার ঢুকে পড়ে। ঘরের আনাচে কানাচে তার উপদ্রব নজরে পড়ে চোখ নয় মন খচখচ করে। এর নাম হল লোভ। পরাণরে শুধু পাওয়ার আকাঙ্খায় জীবন গেল জীবন ছুঁলাম কই?
~এই সপ্তাহে চলে যাব।
রমাপদ চৌধুরী লিখেছিলেন "বাড়ি বদলে যায়"। তখন উনিও জানতেন না কি ভীষণ ভাবে বদলে যায়।
বাড়ি~ স্বপ্নপুরণের এক অপ্রতিম কাহীনির নাম, কখনও বা আশার আকাশে ভাসা চিলের ডানার মত অধরা স্বপ্নের নাম। বাড়ি থেকে বাসা, বাসা থেকে ভালবাসা থেকে কুটুম্বিতা। খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার ~ হৃদয়ের আকীর্ণ প্রসার। নিজের হোক অথবা ভাড়ার, বাড়িওয়ালার বাড়ি -ও কেন যে স্থান পায় অন্তরের অলিন্দ্যে~ আমরা কেউ জানিনা।
এখন বাড়ির নাম ফ্ল্যট। কোথাও সুপরিসর লিভিং রুম, প্রশস্ত হল নরম সোফাসেট, টার্কিশ কার্পেট ,মেঝেয় ফ্লোরবোর্ড, ডিম্বাকৃতি সেন্টার টেবিল, আধুনিক পেইন্টিং অরফিইয়াস কিংবা ইউরিদিয়াসের মুখ থেকে অবিরাম ঝরে পড়া ফোয়ারা, সাঁতার কাটা প্রজাপতি মাছ, concept ফার্নিচার, বাহারী ল্যম্প-শেড, পিকচার ল্যম্পের নীচে পরিতোষ সেন অথবা রামকিংকর বেইজ ~আজকাল মমতা ব্যনার্জী কিংবা শুভাপ্রসন্ন ও হেভি চলছে। অবশ্য CM মমতার limited Edition পাওয়ার চেয়ে গণেশ পাইন পাওয়া অনেক সহজ। ওভেন ডিশ ওয়াসার এল ই ডি টিভি এ তবে সহজলভ্য এবং অনেকের-ই আছে।
আরেক টা বাড়ি আগে হত। সেটা কারও কৃষ্ণনগর কারও মালদা কারও ঘোলসাপুর হতে পারে অথবা বকুলতলা, সবেদা বাগান, শীলপারা। সে বাড়িগুলোর furniture এ কোন আঁতেল কনসেপ্ট থাকতোনা
~ বাবারা চাকরীতে যেতেন, জ্যঠা কাকারা ও যেতেন , কারও মাও যেত। ফাস্ট স্লো সব খাবার মা ঠাকুমারা-ই বানাতেন। বাড়িতে মাংস আসার দিনক্ষণ দেখে খোলা হাওয়ার সাথে খুশি আসতো। নোট বুকের size-এর আয়নায় বড়দা অথবা ছোটকাকু গোঁফে শান দিত। দিদি পিসিরা খেলার ছলে চুল টেনে কান মুলে অতিষ্ঠ করে দিত~ আবার ওরাই না চাইতেই খোপ কাটা আচার লজেন্স মুখে জোর করে পুরে দিয়ে যেত। জীবন টা কেমন টক ঝাল মিষ্টি মিষ্টি ছিল। নগেন দাসের কারখানায় ন টার ভোঁ, বাবা যাবেন নাকে মুখে গুজে ১২ডি ধরতে। বাড়ি মোটেই ছিমছাম থাকত না। থেকে থেকে তাক অগোছালো হয়ে যেত।
ভদা ভদা কাঁসার বাসন, পিড়ি পেতে খাওয়া, শকরিকাটা বাসন তুলে রাখ পাকের ঘরে, মঙ্গলা দি এসে মাজবে
আজ জীবন অনেক ম্যনেজেবেল। মশা আরশুলা তখন ও ছিল এখন ও আছে । কিন্তু তখন ছিল শুধু ফ্লিট এখন hit থেকে শুরু করে টোট্যাল কিলিং রেঞ্জ। আমাদের এত কার্ড যে তাদের আদি ভৃগু ration Card লজ্জায় সামনে আসেনা। কোকিল ডাকতো, চড়াই আসতো, আবার জলঢোরা ভাম অথবা ফড়িং ও উড়ত। আজ তারা অনেকেই আসেনা। আগে স্রেফ চুনকাম হত দেয়ালে, দাগ পড়তো ফাটল ও ধরত। আজকাল দারুন hifi paint, দেয়াল থাকে ক্যনভাসের মত নিটোল। আজকের পেইন্ট না ফাটিয়ে তবুও ঘরে একটা জিনিস বড্ড বারবার ঢুকে পড়ে। ঘরের আনাচে কানাচে তার উপদ্রব নজরে পড়ে চোখ নয় মন খচখচ করে। এর নাম হল লোভ। পরাণরে শুধু পাওয়ার আকাঙ্খায় জীবন গেল জীবন ছুঁলাম কই?
~এই সপ্তাহে চলে যাব।
Monday, 15 August 2011
মা রঞ্জনা আর স্বাধীনতা
লিখিনা কিন্তু পড়ি। অনেক সময়ে এই রোল টা ই ভাল লাগে। কলকাতায় আজকাল কাজের পাহাড় ~ কাজ ডিঙোতেই সময় ফুরিয়ে যায়। কাজের বোঝা আগেও ছিলনা তা নয় কিন্তু তখন ছিল ইটের পাঁজা। এখন পাহাড়। হাড়ে জোর কমেছে তাই গতি স্লথ। মনের আয়নায় এখনও কত রঙের ছোঁয়া লাগে তবু ছবি আঁকা হয়না। ক্যানভাস আছে, কল্পনা আছে ...কিন্ত অন্তরে আলো যেন নিষ্প্রভ।
কাল ১৫-ই অগসট গেল। সামগ্রীক ভাবে জাতির ইতিহাসে স্বনর্ময় দিন। তবে আমার কাছে বড় স্মৃতি-মেদুর। টুকরো স্মৃতির খণ্ড-হার। তবে স্মৃতির কড়িকাঠ আল্গা হয়ে আসছে। অনেক কথার পলেস্তরা খসে পড়ে গুড়ো গুড়ো হয়ে হারিয়ে গেছে
আমার মায়ের স্মৃতির কড়িকাঠে ঘুণ ধরেছিল। বিস্মৃতির হাওয়ায় ভাসতো অনেক স্মৃতির কণা, মা ছুঁতে পারতেন না। ফ্যল'ফ্যল করে চেয়ে রইতেন। স্মৃতিভ্রষ্ট পথচ্যুত ভ্রান্ত পথিকের মত। অন্তরে অসংবৃত অবরুদ্ধ চেতনা আর বাইরে মা আমার অব্যক্ত বিষাদের করুন পাষাণ প্রতিমা। বিসর্জনের আগেই অভিসর্জন~ জীবনের নিষঠুর প্রত্যাখ্যান।
মায়ের বাড়ি গেলাম এদিন। আমার মায়ের তালা বন্ধ বাড়ী। একদিন চোটপাটে বাড়ী মাথায় করে রাখতেন মা। আজ মায়ের অন্ধকার ঘরে আলো জ্বালতেই মায়ের হাসি আমায় ছুঁয়ে গেল। ছবিতে মা হাসছেন। মায়ের বিছানা পরিপাটি করে পাতা। রঞ্জনা রোজ এসে ঝেড়ে মুছে যায় । মায়ের এলার্ম ঘড়ি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে
মায়ের মাথায় ্রামকৃষঞ রবিঠকুর আর Lord Jesus Christ ছবি। তারা যেমন আমার সুস্থ মা কে, আবার আমার রোগজীর্ণ মা কে স্মিত হাস্যে আস্বস্ত করতেন আজ আমার মায়ের ছবির দিকে তাকিয়ে তাই করে চলেছেন। আলমারি তে কাচা মায়ের শাড়ী আর maxi পাট করে রাখা। লম্বা শ্বাসে মায়ের গন্ধ বুক ভরে নেব ভাবলাম। মায়ের মত মায়ের গন্ধ ও হারিয়ে গেছে কোন সুদূরে। শুধু পড়ে আছে মায়ের ব্যবহারের টুকিটাকি। মাকে মনে পড়িয়ে।
রঞ্জনা এল মাইনে নিতে। ষাটের কাছে বয়স।আমার কাছে বায়না করলো এ পূজায় একটা fan কিনে দিতে। মায়ের আলমারি হাট করে খোলা দেখে কাপড়গুলো আবার ভাঁজ করতে লাগলো। এ দেশের মহিলা রা চুপচাপ কাপড় ভাঁজ এখনো করতে পারেনা। স্বাভাবিক ভাবেই এল মায়ের কথা। অন্য কথা যে কথা যুগে যুগে অভিভাবকহীন একাকী মহিলারা একান্তে বলতেন তাদের অন্তরঙ্গ সেবিকার সাথে।
বিকেল নামছে, মেঘের পাখায় ভর করে দিনের আলো আকাশ ছেড়ে তেপান্তরের মাঠের দিকে রওনা দিয়েছে। রঞ্জনার স্নৃতিচারণে মা 'র ঘর আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে...
তুমি বললে যাসনা খোকা ওরে
আমি বলি দেখোনা চুপ করে
ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে
ঢাল তরোয়াল ঝন ঝনিয়ে বাজে
কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে
শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা...
আমি আবৃত্তি করছি।। মা শুনছে, রবিঠাকুর, রামকৃষ্ণ সকলে শুনছে, সময়ের দেয়াল ভেঙ্গে গেছে।।স্বাধীনতা
এসেছে এনেছে মুক্তি।
কাল ১৫-ই অগসট গেল। সামগ্রীক ভাবে জাতির ইতিহাসে স্বনর্ময় দিন। তবে আমার কাছে বড় স্মৃতি-মেদুর। টুকরো স্মৃতির খণ্ড-হার। তবে স্মৃতির কড়িকাঠ আল্গা হয়ে আসছে। অনেক কথার পলেস্তরা খসে পড়ে গুড়ো গুড়ো হয়ে হারিয়ে গেছে
আমার মায়ের স্মৃতির কড়িকাঠে ঘুণ ধরেছিল। বিস্মৃতির হাওয়ায় ভাসতো অনেক স্মৃতির কণা, মা ছুঁতে পারতেন না। ফ্যল'ফ্যল করে চেয়ে রইতেন। স্মৃতিভ্রষ্ট পথচ্যুত ভ্রান্ত পথিকের মত। অন্তরে অসংবৃত অবরুদ্ধ চেতনা আর বাইরে মা আমার অব্যক্ত বিষাদের করুন পাষাণ প্রতিমা। বিসর্জনের আগেই অভিসর্জন~ জীবনের নিষঠুর প্রত্যাখ্যান।
মায়ের বাড়ি গেলাম এদিন। আমার মায়ের তালা বন্ধ বাড়ী। একদিন চোটপাটে বাড়ী মাথায় করে রাখতেন মা। আজ মায়ের অন্ধকার ঘরে আলো জ্বালতেই মায়ের হাসি আমায় ছুঁয়ে গেল। ছবিতে মা হাসছেন। মায়ের বিছানা পরিপাটি করে পাতা। রঞ্জনা রোজ এসে ঝেড়ে মুছে যায় । মায়ের এলার্ম ঘড়ি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে
মায়ের মাথায় ্রামকৃষঞ রবিঠকুর আর Lord Jesus Christ ছবি। তারা যেমন আমার সুস্থ মা কে, আবার আমার রোগজীর্ণ মা কে স্মিত হাস্যে আস্বস্ত করতেন আজ আমার মায়ের ছবির দিকে তাকিয়ে তাই করে চলেছেন। আলমারি তে কাচা মায়ের শাড়ী আর maxi পাট করে রাখা। লম্বা শ্বাসে মায়ের গন্ধ বুক ভরে নেব ভাবলাম। মায়ের মত মায়ের গন্ধ ও হারিয়ে গেছে কোন সুদূরে। শুধু পড়ে আছে মায়ের ব্যবহারের টুকিটাকি। মাকে মনে পড়িয়ে।
রঞ্জনা এল মাইনে নিতে। ষাটের কাছে বয়স।আমার কাছে বায়না করলো এ পূজায় একটা fan কিনে দিতে। মায়ের আলমারি হাট করে খোলা দেখে কাপড়গুলো আবার ভাঁজ করতে লাগলো। এ দেশের মহিলা রা চুপচাপ কাপড় ভাঁজ এখনো করতে পারেনা। স্বাভাবিক ভাবেই এল মায়ের কথা। অন্য কথা যে কথা যুগে যুগে অভিভাবকহীন একাকী মহিলারা একান্তে বলতেন তাদের অন্তরঙ্গ সেবিকার সাথে।
বিকেল নামছে, মেঘের পাখায় ভর করে দিনের আলো আকাশ ছেড়ে তেপান্তরের মাঠের দিকে রওনা দিয়েছে। রঞ্জনার স্নৃতিচারণে মা 'র ঘর আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে...
তুমি বললে যাসনা খোকা ওরে
আমি বলি দেখোনা চুপ করে
ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে
ঢাল তরোয়াল ঝন ঝনিয়ে বাজে
কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে
শুনে তোমার গায়ে দেবে কাঁটা...
আমি আবৃত্তি করছি।। মা শুনছে, রবিঠাকুর, রামকৃষ্ণ সকলে শুনছে, সময়ের দেয়াল ভেঙ্গে গেছে।।স্বাধীনতা
এসেছে এনেছে মুক্তি।
Sunday, 7 August 2011
গল্প হলেও সত্যি
খুবই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সে। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি হবে। এখন বিকেল চারটে। অফিসে কাজের খুব চাপ। কিন্তু মনটা আজ বড় উত্তেজিত। অনেকদিন বাদে কলেজের এক পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হবে। ঠিক করেছে ছোটোবেলার মতো পেট পুরে চিকেন ভরতা আর রুমালি রুটি খাবে । তারপর দু কাপ চা আর আড্ডা।
বেজে গেল সাড়ে পাঁচটা। নাঃ এবার বেরোতেই হয়। নিজের হাতের কাজটা অবশ্য শেষ করে ফেলেছে সে। কিন্তু বাকিরা সবাই এখনও করে চলেছে কাজ। আসলে কাল একটা উচ্চপরযায়ের বৈঠক আছে তারই প্রস্তুতি।
হন্তদন্ত হয়ে সে হাজির হয়ে গেল আলিয়া হোটেলের সামনে। হ্যাঁ, এখানেই বন্ধুর থাকার কথা। পাওয়াও গেল। সব প্ল্যান মতোই চলতে লাগলো। সে ডুবে গেল তিরিশ বছরের আগের জীবনে। ছেলে কলেজে উঠে গেল বুঝলি কিন্তু সেই মেয়ে,বৌ,বুড়ি যা খুশী দেখার অভ্যাস্টা পাল্টালো না মাইরি। বলে সলজ্জ একটা দৃষ্টি আর দুষ্টু দুষ্টু হাসি। বন্ধুরো এটা খুবি চেনা দৃষ্টি, চেনা হাসি। বল্ল ছেড়ে দে, নাই বা পাল্টালো, এটাই তুই।
প্রায় সাড়ে সাতটা এখন। দু তিনটে ফোন এলো গেলো। একটু যেন ছটফটানি। স্বাভাবিক, বাড়ি তো বেশ দুর। বললাম তাহলে এখন এগোবি। প্রায় লুফে নিলো সে। বিদায় দিয়ে কেন যেন ফলো করলাম এক পা দু পা করে। দেখি সে চলেছে তার অফিসের গেটের দিকে। অন্ধকার সিড়ি দিয়ে ঘাড়ের ঘাম মুছতে মুছতে ১৩০/৯০ বিপির মানুষটি কাঁধের ব্যাগটা টানতে টানতে এক পা দু পা করে উঠে চলেছে। লিফট তো বন্ধ। পাঁচ তলা পৌছানো কি মুখের কথা? তবু সে ..........
অবিশ্বাস্য হলেও এ একেবারে সত্যি ঘটনা। এই 'সে' আমাদের পরম শ্রদ্ধেও সুজয় সেন।
বেজে গেল সাড়ে পাঁচটা। নাঃ এবার বেরোতেই হয়। নিজের হাতের কাজটা অবশ্য শেষ করে ফেলেছে সে। কিন্তু বাকিরা সবাই এখনও করে চলেছে কাজ। আসলে কাল একটা উচ্চপরযায়ের বৈঠক আছে তারই প্রস্তুতি।
হন্তদন্ত হয়ে সে হাজির হয়ে গেল আলিয়া হোটেলের সামনে। হ্যাঁ, এখানেই বন্ধুর থাকার কথা। পাওয়াও গেল। সব প্ল্যান মতোই চলতে লাগলো। সে ডুবে গেল তিরিশ বছরের আগের জীবনে। ছেলে কলেজে উঠে গেল বুঝলি কিন্তু সেই মেয়ে,বৌ,বুড়ি যা খুশী দেখার অভ্যাস্টা পাল্টালো না মাইরি। বলে সলজ্জ একটা দৃষ্টি আর দুষ্টু দুষ্টু হাসি। বন্ধুরো এটা খুবি চেনা দৃষ্টি, চেনা হাসি। বল্ল ছেড়ে দে, নাই বা পাল্টালো, এটাই তুই।
প্রায় সাড়ে সাতটা এখন। দু তিনটে ফোন এলো গেলো। একটু যেন ছটফটানি। স্বাভাবিক, বাড়ি তো বেশ দুর। বললাম তাহলে এখন এগোবি। প্রায় লুফে নিলো সে। বিদায় দিয়ে কেন যেন ফলো করলাম এক পা দু পা করে। দেখি সে চলেছে তার অফিসের গেটের দিকে। অন্ধকার সিড়ি দিয়ে ঘাড়ের ঘাম মুছতে মুছতে ১৩০/৯০ বিপির মানুষটি কাঁধের ব্যাগটা টানতে টানতে এক পা দু পা করে উঠে চলেছে। লিফট তো বন্ধ। পাঁচ তলা পৌছানো কি মুখের কথা? তবু সে ..........
অবিশ্বাস্য হলেও এ একেবারে সত্যি ঘটনা। এই 'সে' আমাদের পরম শ্রদ্ধেও সুজয় সেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)